লন্ডনে ভোটে জালিয়াতির জন্য সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশি লুৎফুর রহমান কর ফাঁকিতেও অভিযুক্ত হয়েছেন।
Published : 30 Jan 2016, 10:10 AM
এর পাশাপাশি মর্টগেজ কোম্পানিকে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগেও তিনি আদালতে অভিযুক্ত হয়েছেন বলে ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফের শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি, ইমামদের দিয়ে ভোটে প্রভাব বিস্তার, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষের অপপ্রচার এবং সরকারি অর্থ দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত বছরের ২৩ এপ্রিল আদালত লুৎফরের মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করে।
সেইসঙ্গে আগামী পাঁচ বছর কোনো ভোটে দাঁড়াতে কিংবা সরকারি কোনো পদে তার বসার উপরও নিষেধাজ্ঞা আসে। ওই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমাতে তার আবেদনও গত সপ্তাহে আদালত প্রত্যাখ্যান করে বলে টেলিগ্রাফ জানিয়েছে।
পদ হারানো এবং নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি জরিমানার পর নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছিলেন টাওয়ার হ্যামলেটের পদচ্যুত এই মেয়র।
তখন লুৎফরের বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগকারীরা জরিমানার ওই পাঁচ লাখ পাউন্ড তুলতে তার সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন আদালতে জানান বলে টেলিগ্রাফ জানিয়েছে।
আর তার শুনানিতে সম্পত্তি মর্টগেজ দেওয়ার ক্ষেত্রে ভাড়া থেকে আসা আয়ের বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়া এবং কর ফাঁকির বিষয়টি আসে, যা নাকচ করার মতো প্রমাণ আদালতে উপস্থাপনে ব্যর্থ হয়েছেন লুৎফুর।
বিচারককে উদ্ধৃত করে টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লুৎফুর ও তার ব্রোকার উভয়কে সাবধান করতে হবে যে তারা দুটি বন্ধকী সম্পত্তির ক্ষেত্রে ভুল তথ্য দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে মর্টগেজ কোম্পানির ভুল বোঝার অবকাশ থাকে যে তাদের আর কোনো ঋণ নেই।
ওই দুটি সম্পত্তি থেকে পাওয়া ভাড়ার আয় রাজস্ব বিভাগের কাছে গোপন রাখার মাধ্যমে লুৎফুর ও তার স্ত্রী আয়েশা ফরিদা কর দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতারণা করেছেন বলে বিচারক উল্লেখ করেন।
২০০৫ সালে কেনা ওই ওই দুটি সম্পত্তি ফরিদা তার দাবি করলেও এর বিশ্বাসযোগ্যতা পায়নি আদালত। কেননা, এগুলো কেনার অর্থ এবং ভাড়ার আয় সবই লুৎফুরের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমেই হচ্ছে।
এভাবে একের পর এক জটিলতায় জড়াচ্ছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের এই নাগরিক, যার বিরুদ্ধে উগ্রপন্থিদের মদদ দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
লুৎফুর এক সময় লেবার পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, দলটির হয়ে তিনি টাওয়ার হ্যামলেটস বারা কাউন্সিলে কাউন্সিলরও হয়েছিলেন।
কিন্তু লেবার পার্টি থেকে মনোনয়ন না পেয়ে ২০১০ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র নির্বাচন করে বিজয়ী হন লুৎফুর। চার বছর পর আবার তিনি স্বতস্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে বিজয়ী হলেও জালিয়াতির প্রমাণ মেলায় চেয়ারে থাকতে পারেননি।
প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা সরাসরি আমাদের জানান। নাম, ঠিকানা ও সংশ্লিষ্ট ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায় [email protected]