টানা তৃতীয়বারের মতো বাণিজ্য ব্যবস্থাপনায় বিশ্বের ৫০ জন ‘প্রভাবশালী’ চিন্তাবিদের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশি সুবীর চৌধুরীর নাম।
Published : 13 Nov 2015, 08:04 PM
লন্ডনে বুধবার জমকালো এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘থিঙ্কার্স-৫০’ শিরোনামে দ্বিবার্ষিক এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা কাউন্সিলের চার্টার মেম্বার সুবীর চৌধুরী থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়। এবারের তালিকার ৫০ জনের মধ্যে তিনি আছেন ৩৯তম অবস্থানে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের মেধা গোটা বিশ্বের পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে। এ স্বীকৃতি তারই প্রকাশ।”
এর আগে ২০১১ সালের ‘থিঙ্কার্স-৫০’ তালিকার ৫০ নম্বরে এবং ২০১৩ সালে ৪০ নম্বরে ছিলেন এএসআই কন্সাল্টিং গ্রুপের চেয়ারম্যান সুবীর।
এবারের তালিকায় এশীয়দের মধ্যে ভারতের চারজন এবং চীনের একজন রয়েছেন। আর শীর্ষে রয়েছেন হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক মাইকেল পোর্টার।
‘থিঙ্কার্স ৫০’ তালিকার উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দক্ষতাপূর্ণ ব্যবস্থাপনায়’ যারা সাফল্য দেখিয়েছেন, তাদেরই সম্মান জানানো হয়েছে এই তালিকায়।
আর অর্থ-বাণিজ্যের সাময়িকী ফোর্বস লিখেছে, ব্রিটিশ কনসাল্টিং ফার্ম ক্রেইনার-ডিয়ারলভ প্রকাশিত ‘থিঙ্কার্স-৫০’ তালিকাকে ‘ম্যানেজমেন্ট থিঙ্কিং’ এর অস্কার বলা হয়।
এরপর মিশিগানের জেনারেল মটর্স কোম্পানির ডেলফি ডিভিশনে কোয়ালিটি অ্যান্ড সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করেন সুবীর। ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি আমেরিকান সাপ্লায়ার ইন্সটিটিউটের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমি অত্যন্ত গৌরববোধ করছি। বাঙালিরা নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করলে কেউ তাদের ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। মেধার স্বীকৃতি আসবেই। এভাবেই বিশ্বে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।”
১৯৯৬ সালে কেন জিমারের সাথে ‘কিউএস-৯০০০ পায়োনিয়ার’ লিখে আলোচনায় আসা সুবীর চৌধুরীকে ‘দ্য লিডিং কোয়ালিটি এক্সপার্ট’ অভিহিত করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়া সুবীরের মোট ১৪টি বই প্রকাশিত হয়েছে। কোয়ালিটি ও ম্যানেজমেন্টের ওপর প্রকাশিত এসব বইয়ের অনেকগুলোই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়।
প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা এখন থেকে সরাসরি আমাদেরকে জানাতে পারেন। পুরো নাম, ঠিকানা ও ছবিসহ লেখা পাঠিয়ে দিন এই ঠিকানায় [email protected]