পিন্টুর কফিনে খালেদার শ্রদ্ধা

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে দলের ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর কফিনে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন খালেদা জিয়া ও নেতাকর্মীরা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 May 2015, 05:40 AM
Updated : 4 May 2015, 12:09 PM

সেখানে জানাজার পর  সাবেক সাংসদ পিন্টুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে তার হাজারীবাগের বাসায়।    

লেদার টেকনোলজি কলেজ মাঠে সোমবার বিকালে আরেক দফা জানাজার পর আজিমপুর কবরস্থানে বাবার কবরে তাকে দাফন করা হবে বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

পিলখানা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পিন্টু রোববার রাজশাহী কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

রাজশাহী থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সোমবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে পিন্টুর মরদেহ হাজারীবাগের মনেশ্বর সড়কের বাসায় নিয়ে আসা হয়।

সেখান থেকে পিন্টুর কফিন সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে নিয়ে আসা হয় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। প্রয়াত এই নেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকেই কয়েকশ নেতকর্মী সেখানে জড়ো হয়েছিলেন।  

বেলা সাড়ে ১১টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি পিন্টুকে শেষবারের মতো দেখেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পরে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে পিন্টুর কফিনে তিনি পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর খালেদা নিজ হাতে দলের পতাকা দিয়ে পিন্টুর কফিন ঢেকে দেন। এ সময় তাকে রুমালে চোখ মুছতে দেখা যায়।

শ্রদ্ধা নিবেদনের পরপরই খালেদা তার গুলশানের বাসায় ফিরে যান। এ সময় মহানগর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, মহিলাদল, ছাত্রদলসহ বিএনপির বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পিন্টুর কফিনে ফুল দেওয়া হয়। 

শ্রদ্ধা নিবেদনের পর কাযার্লয়ের সামনেই পিন্টুর জানাজা হয়। এ সময় কার্যালয়ের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ।

বিএনপি ও ২০ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে মওদুদ আহমদ, আ স ম হান্নান শাহ, জমিরউদ্দিন সরকার, আহমেদ আজম খান, মোহাম্মদ শাহজাহান, ফজুলল হক মিলন, আসাদুজ্জামান রিপন, খায়রুল কবীর খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, সাঈদ আহমেদ জানাজায় অংশ নেন।

মহিলা দলের নুরী আরা সাফা, শিরিন সুলতানা ও মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস এ সময় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছিলেন।

জানাজার আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, “এই মৃত্যু আমাদের কাছে অপ্রত্যাশিত।পিন্টু কেবল একজন উদীয়মান নেতাই ছিলেন না, তিনি দলের একজন সক্রিয় সংগঠকও ছিলেন।তার এই অকাল চলে যাওয়া আমাদের জন্য মর্মান্তিক ও শোকের।”

সাবেক সাংসদ পিন্টুর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সকালে বিএনপি কার্যালয়ে কালো পতাকা তোলা হয়। নেতা-কর্মীরা বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করেন।

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি পিন্টু ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যা মামলার রায়ে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দাবি, তার দলের এই নেতাকে কারাগারে হত্যা করা হয়েছে। পিন্টুর পরিবারও একই অভিযোগ করেছে।

তবে এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বিশেষ উদ্দেশ্য থেকেই এসব কথা বলা হচ্ছে।