খালেদার খনি দুর্নীতি মামলাও সক্রিয় করার উদ্যোগ

গ্যাটকোর পর স্থগিতাদেশের কারণে আটকে থাকা খালেদা জিয়ার খনি দুর্নীতির মামলাও সচল করার উদ্যোগ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 March 2015, 10:36 AM
Updated : 2 March 2015, 02:49 PM

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগে জরুরি অবস্থার সময় দায়ের করা এ মামলা নিয়ে একটি রুল শুনানির জন্য হাই কোর্টের মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় আসছে।

সোমবার দুদকের আবেদনে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের বেঞ্চ এই দিন ঠিক করে দেয়। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

সাবেক চার দলীয় জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, ১০ মন্ত্রীসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবাধয়ক সরকারের সময়ে এই মামলা করা হয়।

২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলা হওয়ার পর ৫ অক্টোবর ১৬ জনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

এতে বলা হয়, চীনা প্রতিষ্ঠান কনসোর্টিয়াম অফ চায়না ন্যাশনাল মেশিনারিজ ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশনের (সিএমসি) সঙ্গে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করার মধ্য দিয়ে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি করেছেন।

২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর খালেদার বিরুদ্ধে এ মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করে হাই কোর্ট। মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও দেওয়া হয়।

হাই কোর্টের ওই আদেশ আপিলেও তা বহাল থাকে। ফলে আটকে যায় খনি দুর্নীতি মামলা।

২০১২ সালের ১৫ জানুয়ারি এ মামলা থেকে স্থায়ী জামিন পান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। 

জরুরি অবস্থার সময়ে খালেদার বিরুদ্ধে দায়ের করা গ্যাটকো দুর্নীতি মামলাও সম্প্রতি সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হয় দুদকের পক্ষ থেকে।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় করা এ মামলায় ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রায় সাত বছর পর এমন এক সময়ে দুদক এই মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নিয়েছে, যখন চলমান অবরোধে নাশকতার ঘটনায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে অন্তত চারটি মামলা হয়েছে।

এছাড়া জিয়া এতিমখানা ও দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। পুলিশকে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তল্লাশি চালাতেও অনুমতি দিয়েছে আদালত।