দেশে একাত্তরের মতো গুম-খুন-গুপ্তহত্যা চলছে অভিযোগ করে এর জন্য আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে দায়ী করেছে বিএনপি।
Published : 14 Dec 2014, 12:57 PM
রোববার সকাল ১০ টার দিকে দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “দেশে একাত্তর সালের মতো গুম-খুন-গুপ্ত হত্যা চলছে। শহীদ বুদ্ধিজীবীরা একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু আজ কি দেখছি? বিনা ভোটে জোর করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে আছে আওয়ামী লীগ।
এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য জনগণ আন্দোলন করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমাদের দুর্ভাগ্য, একাত্তরে এদেশকে মেধাশূন্য করার যে ষড়যন্ত্র হয়েছে, গুম-খুনের মাধ্যমে আজ আবার সেই চক্রান্ত শুরু হয়েছে। গণতন্ত্রহীনতা ও ফ্যাসিজমই এর জন্য দায়ী।”
অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মাহবুবউদ্দিন খোকন, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবীর খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শিরিন সুলতানা, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে মহানগর বিএনপি, যুবদল, মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদবেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
পরাজয় নিশ্চিত জেনেই পাকিস্তানি বাহিনী এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ঘটায়, যার উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের পুনর্গঠন বাধাগ্রস্ত করা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত আসা যুদ্ধাপরাধ মামলার বিভিন্ন রায়ে বুদ্ধিজীবী হত্যার সেই নীল নকশায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হয়েছে, যে দলটি বর্তমানে বিএনপির প্রধান শরিক।
বুদ্ধিজীবী গণহত্যায় সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল এ পর্যন্ত চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে, যার মধ্যে জামায়াত আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে বিগত বিএনপি সরকারের সময়ে মন্ত্রিত্বও দেওয়া হয়েছিল।
বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রোববার বিকালে ঢাকার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বিএনপি।