ছাত্রদলের নতুন কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভে সক্রিয় তিন নেতা বহিষ্কৃত হয়েছেন।
Published : 10 Nov 2014, 03:45 PM
এরা হলেন- সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন,
আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েলের কমিটির সহসভাপতি আবু সাঈদ এবং নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক গাজী রেজওয়ানুল হক রিয়াজ।
সোমবার দুপুরে যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে খোকন ও সাঈদকে বিএনপি থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে তাদের সঙ্গে সংশ্রব না রাখতে ছাত্রদলসহ সব সহযোগী সংগঠনকে বলা হয়েছে।
এরপর সন্ধ্যায় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে একই অভিযোগে রিয়াজকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
বহিষ্কৃত রিয়াজের সঙ্গে কোনও ধরনের যোগাযোগ না রাখতে ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বলেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
শৃঙ্খলা ভঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় বিএনপি ও ছাত্রদল আরও সাতজনকে কারণ দর্শানোর নোটিসও দিয়েছে।
বিএনপি দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছে ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি জাবেদ হাসান স্বাধীন ও তরুণ দে, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক তরিকুল ইসলাম টিটু ও ফেরদৌস আহমেদ মুন্না এবং সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রয়েলকে।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে স্বাধীন, তরুণ, টিটু, মুন্না ও রয়েলকে আগামী মঙ্গলবার বিকাল ৫টার মধ্যে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
ছাত্রদল কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছে ঢাকার চকবাজার থানা শাখার সভাপতি নাহিদুল ইসলাম নাহিদ এবং চকবাজার থানা শাখার সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন বাবুকে। তাদেরও মঙ্গলবার বিকাল ৫টার মধ্যে দলীয় কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
বহিষ্কৃত ও নোটিস পাওয়া এই নেতারা ছাত্রদলের নতুন কমিটির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্বে দিচ্ছিলেন। বিক্ষুব্ধদের প্রতিনিধি হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকেও অংশ নিয়েছিলেন তারা।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ১৪ অক্টোবর রাজিব আহসান ও আকরামুল হাসানের নেতৃত্বে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের পর থেকেই পদ না পাওয়ারা বিক্ষোভ শুরু করে।
বিক্ষোভের সময় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাংচুর চলে। কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে জিয়াউর রহমানের ম্যুরালও নষ্ট করা হয়।
এরপর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস কোন্দল মেটাতে বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি আপত শান্ত করলেও স্থায়ী কোনও সমাধান আসেনি।
তারপর গত শুক্রবার খালেদা জিয়া শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিতে যাওয়ার পথে বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর গাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায় ছাত্রদলের ‘পদবঞ্চিতরা’। এরপরই বহিষ্কারের পদক্ষেপ নেওয়া হল।