জাতীয় প্যারেড ময়দানে লাখো কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের আয়োজনের অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযোদ্ধারা ‘উপেক্ষিত’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
Published : 26 Mar 2014, 06:03 PM
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই বিএনপি নেতা বলেন, “সরকারের উদ্যোগে সকালে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছে। এখানে আলাদাভাবে রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছিল না। তবে আক্ষেপের বিষয়, এই অনুষ্ঠানে অনেক মন্ত্রণালয় দায়িত্বে থাকলেও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়কে সেভাবে দেখা যায়নি। এ থেকে বুঝা যায়, মুক্তিযোদ্ধারা উপেক্ষিত।’’
লাখো কণ্ঠে ‘সোনার বাংলা’ গাওয়ার আয়োজনে বিএনপি কেনো অংশ নেয়নি জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, “এই অনুষ্ঠানে কোনো রাজনৈতিক দলকে অংশ নিতে বলা হয়নি। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযোদ্ধারা যেখানে উপেক্ষিত সেখানে বিএনপি উপেক্ষিত হবে- এটাই স্বাভাবিক।”
নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আজ দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। ৫ জানুয়ারির ভোট ও প্রার্থীবিহীন নির্বাচনে এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসে আছে। সেজন্য তারা গণবিরোধী বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। বিদ্যুতের দাম ইতিমধ্যে বাড়ানো হয়েছে।
“সড়ক-মহসড়কে টোল আদায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। বেকারত্ব ও গরিবের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মুক্তিযুদ্ধে চেতনা আজ অনুপস্থিত। মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই।’’
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করাকে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক জিয়াউর রহমানের মাজারের সামনে দাঁড়িয়ে আমরা আজ শপথ নিতে চাই, আমরা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে দেশে জনগণের সরকার ফিরিয়ে আনবো।”
দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, মহানগর সদস্য সচিব আবদুস সালামসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক জিয়াউর রহমানসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিলো একটি শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।”