আগামী নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংলাপের প্রস্তাবের পর মতিঝিলের সমাবেশেই প্রথম বক্তব্য নিয়ে আসছেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
Published : 04 May 2013, 03:33 AM
শনিবার বিকালে শাপলা চত্বরে ১৮ দলীয় জোটের এই সমাবেশ হবে, যার প্রস্তুতি সম্পন্ন বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।
বিরোধীদলীয় নেতার প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সাভার ট্র্যাজেডিতে ব্যাপক মানুষের প্রাণহানির প্রেক্ষাপটে এই সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন জাতির উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন।”
মতিঝিলের এই সমাবেশের একদিন আগে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনেও তার সরকারের আপত্তি নেই।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনরত বিরোধীদলীয় নেতাকে তার আগের দিনই সংলাপে বসার আহ্বান জানান তিনি।
এর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির পক্ষে দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবি মানা হলে তারা সংলাপে বসতে পারেন এবং সেজন্য আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিতে হবে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সংলাপের আগে এই ধরনের শর্ত দেয়ার সমালোচনা করেছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, তারা প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া খালেদা জিয়ার মুখ থেকেই শুনতে চান। তা জেনেই সংলাপের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠাবেন তারা।
সংলাপ নিয়ে আলোচনার মধ্যে বিকালের জনসভায় আসছেন বিরোধীদলীয় নেতা। সাভারের ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার কার্যক্রমের প্রেক্ষাপটে এই সমাবেশ না করার আহ্বান ছিলো প্রধানমন্ত্রীর।
ঢাকা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে এই জনসভায় ১৮ দলীয় জোটের অন্য দলগুলোর শীর্ষ নেতারাও বক্তব্য রাখবেন।
ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ভোরেই শেষ হয়েছে মঞ্চ নির্মাণের কাজ। দুপুরের আগেই নেতা-কর্মীরা জড়ো হবেন সমাবেশস্থলে।
সমাবেশে বক্তব্য শুরুর আগে জাসাস শিল্পীরা গান শোনাবেন বলে জানান তিনি।
১৮ দলের এই জনসভাকে কেন্দ্র করে পুলিশ কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। মঞ্চের আশপাশে বসানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।
বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, আড়াই হাজারের একটি স্বেচ্ছাসেবক দলও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।
বিরোধী দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, জনসমাগম ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে বাধা দেয়া হয়েছে; তবে সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন সরকারি দলের নেতারা।
মতিঝিলের এই জনসভার অনুমতি নিয়েও সরকার ‘টালবাহানা’ করেছিলো বলে অভিযোগ বিএনপির। সমাবেশের দুদিন আগে ১৩টি শর্তে অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।