হাতবোমা বিস্ফোরণে সভা পণ্ডের পর বিএনপি কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে ১০টি বোমা পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
Published : 11 Mar 2013, 12:13 PM
সোমবার সন্ধ্যা ৬টার সময় নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ, যা রাত ৮টা পর্যন্ত চলে।
এই অভিযানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সহসভাপতি সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়।
মির্জা ফখরুল এবং রিজভীকে আটকের পর কার্যালয়ের প্রতিটি স্থানে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তৃতীয় তলায় টেপে প্যাঁচানো বোমার মতো দুটো বস্তু দেখা যায়।
তখন সেখানে দায়িত্বরত ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মেহেদী হাসান তার অয়্যারলেসে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বলেন, “স্যার, তিন তলায় দুটি বোমা পাওয়া গেছে।”
টেলিভিশনের ছবিতে লাল ও কালো টেপে প্যাচানো দুটি বস্তু দেখা যায়।
এরপর চতুর্থ তলায় চারটি হাতবোমা পাওয়া যায়। পরে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলায় পাওয়া যায় আরো চারটি বোমা।
বোমাগুলো পরীক্ষার জন্য গোয়েন্দা পুলিশের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যদেরও বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকতে দেখা গেছে।
পুলিশ বলছে, নাশকতার জন্য বিএনপিকর্মীরা এই বোমা জড়ো করেছিল।
তবে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বোমা উদ্ধারের ঘটনাটি সাজানো।”
সোমবার বিকালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশ ছিল নয়া পল্টনে।
সমাবেশ চলাকালে বিকাল পৌনে ৫টার দিকে হঠাৎ কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণের পরপরই ওই সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে এবং আশেপাশের বিভিন্ন ভবনে ভাংচুর শুরু করে।
এক পর্যায়ে পুলিশ বিএনপি কর্মীদের ধাওয়া করলে আরো কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে।
এরপরই বিএনপি কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে বোমা উদ্ধারের কথা জানায় পুলিশ।