দশম জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ২০১৬ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে, যাতে আগের বারের মতো এবারও আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি দেখিয়েছে দলটি।
Published : 10 Jul 2017, 01:26 AM
রোববার জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ স্বাক্ষরিত আর্থিক বিবরণী প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর জমা দেয় দলটির একটি প্রতিনিধি দল।
ওই আর্থিক বিবরণীতে বলা হয়, ২০১৬ সালে জাপার আয় ছিল ৭৩ লাখ ৬০ হাজার ৫০০ টাকা। এর বিপরীতে ব্যয় হয় ১ কোটি ৫ লাখ ৮৩ হাজার ৩০৩ টাকা। ব্যয় বেশি হয়েছে ৩২ লাখ ২২ হাজার ৮০৩ টাকা।
বিবরণীতে মোট নয়টি খাত থেকে দলের আয় দেখানো হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে- সদস্য, কর্মী ও কার্য উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের চাঁদা, ফরম বিক্রি, বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার অনুদান, দলের পত্রিকার সাময়িকী ও বইপত্র বিক্রি এবং দলের বিভিন্ন সংস্থা বা সেবামূলক প্রতিষ্ঠান থেকে আসা আয়।
আর ব্যয় দেখানো হয়েছে ১৭টি খাতে। এগুলো হচ্ছে- প্রাতিষ্ঠানিক, বিদ্যুৎ, ওয়াসা ও গ্যাসসহ ইউটিলিটি বিল, সভা, প্রচারণা, সাংগঠনিক কার্যক্রম, বিজ্ঞাপন, প্রকাশনা কার্যক্রম, জাতীয় বিভিন্ন দিবস পালন, ত্রাণ কার্যক্রম, ভ্রমণ, ধর্মীয় বিশেষ অনুষ্ঠান, আপ্যায়ন এবং স্থায়ী ও অস্থায়ী সম্পদ কেনা ইত্যাদি।
রাজনৈতিক দলগুলোর ২০১৬ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। ইতোমধ্যে কয়েকটি দল প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বলে ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা জানান।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে দলগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে ২০১৬ সালের অডিট রিপোর্ট রেজিস্টার্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং ফার্মের মাধ্যমে নিরীক্ষা করে ইসিতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
“প্রতিবেদনে অডিট কোম্পানি এবং দলের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর বা সিলমোহরসহ নির্ধারিত ছকে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে হবে।”
কোন দল পরপর তিন বছর কমিশনে এ প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হলে ওই দলের নিবন্ধন বাতিলের এখতিয়ার রয়েছে ইসির।
৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আর্থিক বিবরণী জমা দেওয়ার তাগিদ দিলেও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো বরাবরই তা জমা দিতে সময় বাড়াতে বলে। গত বছরও নির্দিষ্ট সময়ের পর অগাস্ট মাসে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয় প্রধান দলগুলো।