ক্ষমতায় গেলে ২০৩০ সাল নাগাদ বিএনপি বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চায়, তার রূপরেখা ‘ভিশন ২০৩০’ নিয়ে শিগগিরই সংবাদ সম্মেলনে আসছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
Published : 05 May 2017, 04:13 PM
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আমরা সরকার পরিচালনার দায়িত্বে গেলে কি কি কাজ করব, ২০৩০ সালে কীভাবে আমরা দেশকে দেখতে চাই, সেই স্বপ্নটা কীভাবে জাতিকে দেখাতে চাই- সেই বিষয়গুলো এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করব।”
শুক্রবার সকালে স্কয়ার হাসপাতালে বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী সাহেরা হোসেনকে দেখার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে ভিশন ‘২০৩০’ নিয়ে কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
খালেদা জিয়া আগামী ১০ মে ওই সংবাদ সম্মেলনে আসছেন বলে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে খবর এলেও ফখরুল বলেন, বিষয়টি নির্ভর করবে ভেনুর প্রাপ্যতার ওপর। তবে ‘শিগগিরিই’ এই সংবাদ সম্মেলন হবে।
“আমাদের জাতীয় কাউন্সিলে ম্যাডামের (বেগম খালেদা জিয়া) বক্তব্যে ‘ভিশন ২০৩০’ এর রূপরেখা দেওয়া হয়েছিল, সেটা ছিল আউটলাইন। এখন পূর্ণাঙ্গ করে দেওয়া হবে। এটার সঙ্গে নির্বাচনী ইশতেহার বা নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকারের রূপরেখার কোনো সম্পর্ক নেই।”
ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত সাহেরা হোসনকে গত সোমবার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মির্জা ফখরুল হাসপাতালে গিয়ে তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং সাহেরার ছেলে খোন্দকার আকবর হোসেন বাবুল, খোন্দকার আখতার হামিদ ডাবলু ও মেয়ে দেলোয়ারা হোসেন পান্নার সঙ্গে কথা বলেন।
বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয় সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী ও নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদারও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
‘গণতন্ত্র নেই, প্রধান বিচারপতির কথাই প্রমাণ’
দেশে যে গণতন্ত্র নেই, প্রধান বিচারপতির বক্তব্যেই তার প্রমাণ পাওয়া যায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা ফখরুল।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মূল তিন স্তম্ভ- স্বাধীন বিচার বিভাগ, স্বাধীন সংসদ ও দক্ষ নির্বাহী বিভাগ। সরকার যদি বিচার বিভাগের ওপর চাপ সৃষ্টি করে তাহলে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না।
“মাননীয় প্রধান বিচারপতি নিজেই বলছেন- তখন তো জাতির কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে যে এই দেশে গণতন্ত্র নেই। জুডিশিয়িারি তার স্বাধীন ভূমিকা পালন করতে পারছে না। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হচ্ছে সরকার বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ করে চলেছে।”
বিরোধী মতকে দমনে বর্তমান সরকার ‘একনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে’ বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
“আমরা বরাবরই বলে এসেছি, আমরা দেশে গণতন্ত্র চাই, এই সংকটের সমাধানে চাই। এটা শুধুমাত্র আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব। সরকারের উচিৎ একগুঁয়েমি পরিহার করে গণতন্ত্রের পথে আসা।”
‘বড় দলে এসব হয়’
বিএনপি দল পুর্নগঠনে যখন সারাদেশে ‘কর্মী সভা’ করছে, তখন চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘাতের ঘটনা নিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপি একটা বৃহৎ রাজনৈতিক দল। গতকাল গাজীপুরে কর্মীসভা হয়েছে, কয়েক হাজার কর্মী নিয়ে সফলভাবে হয়েছে। ঢাকার বাইরে অন্যান্য জায়গায়ও কর্মী সভা হচ্ছে। দুই-একটা জায়গা ছোটখোটো সমস্যা হয়- বিএনপির মতো বড় দলে এটা স্বাভাবিক। অন্যান্য দলেও এটা হয়, বড় দলে হয়।”