হোম
+
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে ভোটারদেরকে হোল্ডিং ট্যাক্স কমানো, ‘আবর্জনা ও সন্ত্রাস-মাদকমুক্ত’ নগর প্রতিষ্ঠাসহ ২৫ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসন খান।
Published : 19 Dec 2016, 05:34 PM
সোমবার শহরের শায়েস্তা খান রোডে প্রধান নির্বাচনী ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ইশতেহার ঘোষণা করেন।
বিএনপি প্রার্থীর প্রথম প্রতিশ্রুতি হল- সিটি করপোরেশন পরিচালনার জন্য দলমত নির্বিশেষে সকল ধর্ম, বর্ণ ও পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে উপদেষ্টা কাউন্সিল গঠন।
বিজয়ী হলে এই উপদেষ্টা পরিষদের কাছ থেকে ২৫ দফার বাইরে আরও যেসব পরামর্শ আসবে সে অনুসারে ‘আধুনিক ও বাসযোগ্য’ নগরী গড়ার কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সাখাওয়াত।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “হোল্ডিং ট্যাক্স কমানো এবং সন্ত্রাস, মাদক ও ময়লা-আবর্জনামুক্ত নগর ঘোষণা হবে আমার অগ্রাধিকার।”
বিএনপির প্রার্থীর প্রতিশ্রুতি
>> শীতলক্ষ্যা নদীকে দূষণমুক্ত করার পাশাপাশি ৩৫টি খাল খনন ও দখলমুক্ত করা হবে
>> শীতলক্ষ্যা সেতু বাস্তবায়ন
>> ২ নম্বর রেইলগেট ও চাষাড়া এলাকায় ফ্লাইওভার বা আন্ডারপাস নির্মাণ
>> নারায়ণগঞ্জ শহরকে যানজটমুক্ত করা
>> আইনশৃঙ্খলার উন্নতি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ
>> পঞ্চায়েত ও বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে প্রতিটি মহল্লায় কমিটি গঠন
>> বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা
>> টিউবওয়েল ও ডিপ টিউবওয়েলের ওপর থেকে কর প্রত্যাহার
>> সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে কম ভাড়ায় আধুনিক বাস সার্ভিস চালু
>> খেলাধুলার বিকাশের জন্য শীতলক্ষ্যার দুই তীরে দুটি আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণ
>> হাজীগঞ্জ ও সোনাকান্দা কিল্লাকে নগরবাসীর জন্য আধুনিক বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত করা
>> মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে নগর কর্তৃপক্ষের সব কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া
>> নারায়ণগঞ্জ ও বন্দরে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, কেন্দ্রীয় নেতা হাফিজউদ্দীন আহমেদ, আমান উল্লাহ আমান, খায়রুল কবির খোকন, শামা ওবায়েদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সাখাওয়াত হোসন খানের এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন কল্যাণ পার্টির মেয়র পদপ্রার্থী রাশেদ ফেরদৌস।
তিনি বলেন, “আমাদের দল কল্যাণ পার্টি ২০ দলীয় জোটের অন্তর্ভুক্ত একটি দল। কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইবরাহিম এবং জোটের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিচ্ছি।”
এখন থেকে ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার ও অন্যান্য কাজে যোগ দেবেন বলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান রাশেদ ফেরদৌস।
এরপর তিনি বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াতের হাতের ধানের শীষ তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
দুই দিন আগে সংবাদ সম্মেলন করে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়া এলডিপির কামাল প্রধানও এ সময় সাখাওয়াতের হাতে ধানের শীষ তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
ব্যালটে প্রতীক থাকবে
আগামী ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীকে হচ্ছে। বিভিন্ন দলের সাত প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেও মূল আলোচনা চলছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিগত মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং বিএনপির সাখাওয়াত হোসেন খানকে নিয়ে।
প্রার্থীর দুইজন ভোটের আগে আগে সাখাওয়াতের সমর্থনে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেও নিয়ম অনুযায়ী ব্যালট পেপারে সব প্রার্থীর প্রতীকই থাকবে বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান তালুকদার জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাতজন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পার হওয়ার পর ভোটের আগে আর নাম প্রত্যাহারের সুযোগ নেই। ব্যালটে সবার নাম ও প্রতীক থাকবে।”
গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগের রাতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে ব্যালটে তার প্রতীক ছিল এবং তিনি কয়েক হাজার ভোটও পেয়েছিলেন।
