ক্ষমতায় ফিরলে ‘গুম-খুনে’ জড়িত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
Published : 29 Jun 2016, 09:32 PM
বুধবার গুলশানের হোটেল লং বিচে অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর নিখোঁজ বিএনপি নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এক টেবিলে বসে ইফতার করেন তিনি।
২০১৩ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে বিএনপির যাদের ধরে নেওয়া হয়েছে, তাদের পরিবারকে নিয়ে এই ইফতার অনুষ্ঠান আয়োজন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
এতে দলের নেতা সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদির লুনাসহ ৩৮ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।
খালেদা বলেন, “২০১৩ সাল থেকে আমাদের দলের অনেককে গুম-খুন করা হয়েছে। আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, র্যাব ও পুলিশের যারা এই গুম-খুনের অন্যায় কাজগুলো করেছে, তাদের কোনোদিন ক্ষমা করা হবে না, তাদের বিচার একদিন না একদিন হবেই হবে।
এই অনুষ্ঠানে বিমান বন্দর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নিজামউদ্দিন মুন্নার বাবা শামসুদ্দিন আহমেদ, বংশাল থানা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক পারভেজ হোসেনের শিশু কন্যা হৃদি, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের নেতা চঞ্চলের ছেলে আহাদ তাদের স্বজনের সন্ধান না পাওয়ার বেদনা তুলে ধরেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদার কাছে।
খালেদা বলেন, “এখনও নিখোঁজ পরিবারের স্বজনরা আশা করেন, তারা ফিরে আসবে, তারা হয়ত কোথাও আছেন। আমরাও একই আশা নিয়ে বসে আছি, তারা ফিরে আসবে।”
“তাদের খুঁজে না পেলেও যারা জড়িত তাদের বিচার হলে স্বজনরা ও আমরা (বিএনপি) কিছুটা শান্তি পাব বলে আমি বিশ্বাস করি।”
জঙ্গি ও সন্ত্রাসী দমনে সম্প্রতি পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানের সময় কথিত বন্দুকযুদ্ধে কয়েকজনের প্রাণহানিকে ‘হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করে তার সমালোচনাও করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
সাঁড়াশি অভিযানের নামে সারাদেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে দাবি করে তার নিন্দাও জানান খালেদা।
এই ইফতার অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, শহীদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সাবেক নেতা আমিরুজ্জামান খান শিমুল উপস্থিত ছিলেন।