বিএনপির একের পর অভিযোগের মধ্যেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যখন ইউপি নির্বাচন নিয়ে সন্তুষ্ট, তখন তাদেরই জোট শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির অভিজ্ঞতা ‘করুণ’।
Published : 03 Apr 2016, 08:53 PM
ইউপি ভোটের দুই পর্ব পেরিয়ে যাওয়ার পর নানা অভিযোগ নিয়ে রোববার সিইসির সঙ্গে দেখা করতে যান ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোট শরিক দলটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।
ভোট নিয়ে নিজেদের ‘করুণ’ অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ‘দখলের মহোৎসব’ বন্ধ করে ইসির প্রতি মানুষের আস্থা ফেরাতে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগের আহ্বান জানান তারা।
মেনন সিইসির সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “দখলের মহোৎসব চলছে। এই নির্বাচনে নিয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা এত করুণ।
“আমাদের প্রার্থীকে বাধা দেওয়া হচ্ছে, একজন প্রার্থীকে মেরে ভুট্টা খেতে ফেলে রেখেছে।”
বিএনপি ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, আরেক ধাপের ভোট দেখবে তারা। চিত্র না বদলালে শেষ তিন ধাপ বর্জনের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে তারা।
তবে নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত দেখতে চান বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী মেনন।
“আমরা নির্বাচনের শেষ দেখতে চাই। কিন্তু আমাদেরকে যদি আপনারা (ইসি) এই আশ্বস্ত করতে না পারেন, তাহলে এই নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষের আর কোনো আস্থা থাকবে না।”
সিইসিকে সাংবিধানিক ক্ষমতা পুরোপুরি প্রয়োগের আহ্বান জানিয়ে মেনন বলেন, “আমরা আশা করব, শেষ পর্যন্ত তাদের যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সেটা প্রয়োগ করবেন। সিইসি আমাদের বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আবার কথা বলবেন।”
১১ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত ভোট নিয়ে সহিংসতায় অন্তত ৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। তার জন্য ইসির দিকে অভিযোগের আঙুল উঠলেও ইসি তা ঠেলে দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দিকে।
বিভিন্ন মহল থেকে সিইসির পদত্যাগ দাবি করলেও তার সঙ্গে ভিন্নমত রয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টির।
“পদত্যাগ দাবির পক্ষে আমরা না। আমাদের কথা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন থাকবে, আসবে। আজকে হোক কালকে হোক নির্বাচন কমিশনকে সঠিকভাবে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। দরকার হলে আমরা নির্বাচন ব্যবস্থাকে রক্ষার জন্য আবার লড়াইয়ে নামব।”