আসন্ন পৌর নির্বাচনে প্রার্থীদের পক্ষে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের প্রচারের সুযোগ দিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি)আবেদন জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
Published : 29 Nov 2015, 01:23 PM
এজন্য রোববার দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের নেতৃত্ব একটি প্রতিনিধি দল শেরেবাংলা নগরে ইসি কার্যালয়ে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
দুপুরে বৈঠক শেষে হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, পৌর নির্বাচনের বিদ্যমান আচরণবিধিতে সংসদ সদসদের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের ‘অবলিগেশন’ তুলে ধরা হয়েছে নির্বাচন কমিশনে।
“সংসদ সদস্যরা কোনো এক্সিকিউটিভ পাওয়ার হোল্ড করেন না, সরকারের সুবিধা ভোগ করেন না। দলভিত্তিক স্থানীয় নির্বাচনে এমপিদের প্রচারণায় যাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। এজন্য বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা রহিত করে প্রচারণার সুযোগ দিতে বলেছি আমরা।”
দলীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের প্রচারণার সুযোগ না দেওয়া সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে হানিফ বলেন, “স্থানীয় নির্বাচনে প্রচারণা করা সংসদ সদস্যদের অধিকার। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত না করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।”
তিনি জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার আওয়ামী লীগের দাবির বিষয়টি পুরো কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “আচরণবিধি অনুযায়ী মন্ত্রীরা সরকারের সুবিধাভোগী, বিধিতে যা বলা হয়েছে, তা তাদের জন্য প্রযোজ্য। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যেসব দাবি করছে তাও আইন-বিধি মেনে পর্যালোচনা করে ইসি সিদ্ধান্ত নেবে।”
তিনি জানান, ক্ষমতাসীন দল চায় সবার অংশগ্রহণে ভোট হোক। তাদের আশা, এ জন্য বিধি অনুযায়ী যতদূর করা যাবে নির্বাচন কমিশন ততদূর করবে।
ভোট পেছালে আওয়ামী লীগ সমর্থন করবে কি না- জানতে চাইলে হানিফ বলেন, “এটা কমিশনের বিষয়। বাস্তবতা ও আইনের বাইরে ইসি যাবে না। আশা করি, আইনগতভাবে ইসি ব্যবস্থা নেবে।”
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন আবদুস সোবহান গোলাপ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, দীপু মনি, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও আফজাল হোসেন।
তফসিল অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর ২৩৬ পৌরসভায় ভোট হবে। এর আগে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।