টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রার্থিতা হারানো আবদুল কাদের সিদ্দিকী দাবি করেছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ‘ছলনা’ করে তাকে ঋণখেলাপি বানিয়েছে।
Published : 19 Oct 2015, 09:54 PM
মনোনয়নপত্র বাতিলে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার ঘোষণাও সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে দিয়েছেন কৃষক, শ্রমিক, জনতা লীগের সভাপতি।
ভাই আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন কাদের সিদ্দিকী, স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্রও জমা হয়েছিল।
কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা খেলাপি ঋণের কারণে দুজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করলে তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন।
তাতেও কোনো ফল না পাওয়ার পর মতিঝিলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অগ্রণী ব্যাংকের বিরুদ্ধে ছলনার অভিযোগ করেন তিনি।
বক্তব্যের ব্যাখ্যায় কাদের সিদ্দিকী বলেন, “মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে ১২ সেপ্টেম্বর এক সভায় অগ্রণী ব্যাংক ঋণের টাকা ১০ শতাংশ সুদে ১০ বছর মেয়াদে পরিশোধের সিদ্ধান্ত দিয়েছিল। তার মানে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার আগে এটা পুনঃতফসিল হয়ে গেছে, আমি খেলাপি নই।
“কিন্তু মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের একদিন আগে ১২ অক্টোবর এসে তারা বলল, ঋণটি অশ্রেণিকৃত করার বিষয়টি তাদের ধারণাগত ভুল এবং এটাকে পূর্বের মতো ক্ষতিজনক হিসাবে শ্রেণিকৃত থাকার কথা জানিয়েছে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকও ১২ তারিখে এসে আমাদের প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করল।”
গত ১৩ অক্টোবর যাচাই-বাছাইয়ের পর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সোনার বাংলা প্রকৌশলী সংস্থার নামে অগ্রণী ব্যাংকের ১০ কোটি ৮৮ লাখ ২৬ হাজার ৪২৩ টাকার ঋণ খেলাপের জন্য কাদের সিদ্দিকী দম্পতির মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
তাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে খণখেলাপি করা হয়েছে দাবি করে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, “১১ অক্টোবর মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। ১৩ অক্টোবর রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে গিয়ে দেখলাম, আগের দিন আমাদের প্রতিষ্ঠান কালোতালিকাভুক্ত হিসাবে চিঠি এসেছে।
“অগ্রণী ব্যাংক এভাবে ছলনা করেছে। ব্যাংক এভাবে ছলনা করতে পারে এটা আমার ধারণার মধ্যে ছিল না।”
নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন কাদের সিদ্দিকী। এর আগে একবার খেলাপি ঋণের কারণে প্রার্থী হতে না পারার পর আদালতে গিয়ে বিফল হয়েছিলেন তিনি।
আদালতে বিফল হলেও দলের পক্ষ থেকে টাঙ্গাইল-৪ আসনে উপনির্বাচনে কৃষক, শ্রমিক, জনতা লীগের প্রার্থী থাকবে বলে জানান কাদের সিদ্দিকী।
দলটির নেতা ইকবাল হোসেন সিদ্দিকী ও হাসমত আলী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এবং তাদের মনোনয়নপত্র বৈধতাও পেয়েছে।
অন্য দুই নেতার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “মনোনয়নপত্র নেওয়ার চার/পাঁচ দিন আগ থেকে আমরা এমন হতে পারে বলে আঁচ করতে পেরেছিলাম। এ কারণে সতর্ক থেকে পা ফেলেছি।”
সংবাদ সম্মেলনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।