অন্ধ্র প্রদেশে মারা গেছে ৫৫ জন। আর তেলেঙ্গানায় ৩৫ জন। অন্ধ্র প্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী এন চিন্না রাজাপ্পা বলেছেন, সোমবার পর্যন্ত ৫৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অন্যদিকে, তেলেঙ্গানার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা ২১৫ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন। তবে মঙ্গলবার পাওয়া মৃতের সংখ্যা এখনো নিশ্চিত করেননি কর্মকর্তারা।
হায়দরাবাদ আবহওয়া দপ্তর সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, তাপদাহ আরো ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত চলতে পারে।
সোমবার তেলেঙ্গানা রাজ্যের হানামকন্দা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।রাজ্যটির অধিকাংশ এলাকায় তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি ।
অন্ধ্র প্রদেশের তিন জেলা কাকিনাদা, মাচিলিপাতনাম ও তুনিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ডকরা হয়।
ওদিকে, বিবিসি’র খবর অনুযায়ী, উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করাহয়েছে। রাজধানী দিল্লির তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে।
কর্তৃপক্ষ জনগণকে ঘরের ভেতরে অবস্থান করাসহ প্রচুর তরল পান করার পরামর্শ দিয়েছে।
এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকেই তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্র প্রদেশে দাবদাহ শুরু হয়। কিন্তু গত এক সপ্তাহে সবচেয়ে বেশিমানুষের মৃত্যু হয়েছে।
অন্ধ্র প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পি. তুলসি রানি বলেন, “বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যারা সরাসরিপ্রখর রোদের সংস্পর্শে এসেছে তারা দাবদাহের শিকার হয়েছে। এছাড়া, ৫০ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী ব্যক্তিএবং যারা দিনমজুর তারা দাবদাহে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে।”
“আমরা জনগণকে সুরক্ষা ব্যবস্থা যেমন: ছাতা ও টুপি ব্যবহার করা, প্রচুর পরিমাণ পানি ও তরল পান করা এবংসুতি কাপড় পরার পরামর্শ দিয়েছি।”
বৃষ্টি কম হওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর ।
পশ্চিমবঙ্গে গরমে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে দুইজন ট্যাক্সি চালক, যারা ‘হিটস্ট্রোকে’ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
এর আগে শুক্রবার উড়িষ্যা সরকার সেখানে ২৩ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল। পাঞ্জাব ও হরিয়ানায়ও গরমেবেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।