কোনো কোনো এলাকায় তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছে। শুধু সোমবারই অন্ধ্র প্রদেশে ৪৫ জন এবং তেলেঙ্গানায় ৪০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
কর্তৃপক্ষ রোববার পর্যন্ত তাপদাহে ওই দু’টি রাজ্যে ৪৩২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। এর মধ্যে অন্ধ্র প্রদেশে ২৪৬ জন এবং তেলেঙ্গানায় ১৮৬ জন মারা গেছে।
রোববার দুই রাজ্যে মোট ১০২ জনের মৃত্যু হয়। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, রাজ্য দু’টিতে গত ছয় দিনে অন্তত এক হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে।
হায়দরাবাদ আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, সোমবার তেলেঙ্গানা রাজ্যের হানামকন্দা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। রাজ্যটির অধিকাংশ এলাকায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি রেকর্ড হয়।
অন্ধ্র প্রদেশের তিন জেলা কাকিনাদা, মাচিলিপাতনাম ও তুনিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
ওদিকে, বিবিসি’র খবর অনুযায়ী, উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। রাজধানী দিল্লির তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে।
কর্তৃপক্ষ জনগণকে ঘরের ভেতরে অবস্থান করাসহ প্রচুর তরল পান করার পরামর্শ দিয়েছে।
এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকেই তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্র প্রদেশে দাবদাহ শুরু হয়। কিন্তু গত এক সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
“আমরা জনগণকে সুরক্ষা ব্যবস্থা যেমন: ছাতা ও টুপি ব্যবহার করা, প্রচুর পরিমাণ পানি ও তরল পান করা এবং সুতি কাপড় পরার পরামর্শ দিয়েছি।”
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আরো কয়েকদিন এ অবস্থা বিরাজ করবে। বৃষ্টি কম হওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
“আগামী চার দিনে অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, দিল্লি ও উত্তরের অন্যান্য রাজ্যের জন্য কোন সুখবর নেই। আরো বেশ কয়েকদিন ভারত জুড়ে তাপদাহ বিরাজ করবে।”
পশ্চিমবঙ্গে গরমে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে দুইজন ট্যাক্সি চালক, যারা ‘হিট স্ট্রোকে’ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
এর আগে শুক্রবার উড়িষ্যা সরকার সেখানে ২৩ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল। পাঞ্জাব ও হরিয়ানায়ও গরমে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।