শুক্রবার ভারতের সর্বোচ্চ আদালত শর্তসাপেক্ষে জয়ললিতাকে দুই মাসের জামিন দেয়ার পর শনিবার ব্যাঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত জয়ললিতাকে ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়।
১৮ ডিসেম্বর তার জামিনের মেয়াদ শেষ হবে।
কর্নাটকের কারা মহাপরিদর্শক (আইজিপি) কে.ভি. গগনদীপ বার্তা সংস্থা আইএএনএস কে বলেন, “যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে জয়ললিতা কারাগার ছেড়েছেন।”
এ সময় তামিল নাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ও.পান্নেরসেলভাম, কেবিনেটের কয়েকজন মন্ত্রী এবং বর্তমান এআইএডিএমকে দলের আইনজ্ঞরা কারা ফটকের সমনে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া কয়েকশ দলীয়কর্মী ও সমর্থকরা কারা ফটকের সামনে জয়ললিতাকে অভিবাদন জানায়।
কারাগার থেকে বের হয়ে চেন্নাই যাওয়ার জন্য ব্যাঙ্গালুরুর পুরাতন বিমানবন্দরের দিকে চলে যায় বিতর্কিত এই রাজনীতিবিদের গাড়ি বহর।
জয়ললিতার তিন সহযোগী শশীকলা নটরাজ, ভি সুধাকরন ও জে এলাভারিসিকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেয়ার দেয়ার জন্য আলাদাভাবে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
দুর্নীতির অভিযোগে দেশটির অন্যতম বিতর্কিত ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী জয়ললিতাকে সেপ্টেম্বরে চার বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে জেলে পাঠায় আদালত।কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ১০০ কোটি রূপি জরিমানাও করা হয়।
২৭ সেপ্টেম্বর থেকে জেলে ছিলেন জয়ললিতা।
এক কোটি ডলারের অবৈধ সম্পদ রাখার অভিযোগে ১৮ বছর আগে জয়ললিতার বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন বর্তমানে বিজেপি নেতা সুব্রামানিয়াম স্বামী।
আদালত জয়ললিতাসহ তার সহযোগী তিনজনকে পৃথকভাবে চার বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে। সেইসঙ্গে ওই তিনজনকে ১৬ লাখ রূপি করে জরিমানা করা হয়।