মধুমাসের সবচেয়ে স্বল্পমেয়াদী ফল লিচু। এরই মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে রসালো এ ফল। তবে বাজার থেকে কিনে লিচু খাওয়া আর বাগানের গাছ থেকে নিজ হাতে পেড়ে লিচু খাওয়ার মধ্যে অনেক তফাৎ আছে।
Published : 17 May 2014, 05:04 AM
লিচুর মৌসুমে তাই ঘুরতে যেতে পারেন দিনাজপুরের মাশিমপুর। সেখানে আছে লিচুবাগান। খেয়ে আসুন টসটসে লিচু।
দিনাজপুর জেলার সর্বত্রই কম-বেশি লিচু চাষ হয়। তবে জেলা সদরের মাশিমপুর লিচুর জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত। এখানকার বাড়িতে বাড়িতে এখন লিচু নিয়ে ব্যস্ত সবাই। দিনাজপুর শহর থেকে রামসাগরের দিকে চলে যাওয়া রাস্তা ধরে কিছুক্ষণ চলার পরেই মাশিমপুর।
সড়কের দুপাশে শুধুই লিচু গাছ। সবুজপাতার ফাঁকে ফাঁকে ডাল ভাড়ি হয়ে ঝুলছে লাল লাল লিচু। প্রধান সড়ক ছেড়ে ছোট কোনো রাস্তায় ঢুকলে পাওয়া যাবে আরো লিচুবাগান।
এ সময়ে মাশিমপুর গেলে দেখা যাবে সড়কের দুপাশে ছেলে মেয়েরা সদ্য পেড়ে আনা লিচু নিয়ে বসেছে বিক্রির আশায়। দূর-দূরান্তে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাওয়া যাবে বিভিন্ন আকারের বাঁশের তৈরি ঝুড়ি।
মাশিমপুরের লিচু বেশিরভাগই বাড়ি কেন্দ্রীক। ঘরের আঙিনা, আশপাশেই বেশিরভাগ লিচু গাছ। বাগানও আছে প্রচুর। ভ্রমণে গেলে এখানে তাই কমবেশি আতিথেয়তাও পাওয়া যায়। এই এলাকার যে কোনো বাড়ি কিংবা বাগানে ঢুকে পড়তে পারেন অনুমতি নিয়ে।
লিচু সমাচার
জৈষ্ঠের শুরু থেকেই লাল হতে থাকে এই মৌসুমি ফল। সবার আগে পাক ধরে দেশিজাতের লিচু। এরপরে পাকতে থাকে বোম্বাই, বেদানা, মাদ্রাজি, চায়না-থ্রিজাতের লিচু। দিনাজপুরের প্রায় দুই হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে লিচুর আবাদ হয়। এছাড়া দক্ষিণ কোতয়ালী ও আউলিয়াপুর, বিরল, বোচাগঞ্জ, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ি, বিরামপুর, ঘোড়াঘাট প্রভৃতি উপজেলায় প্রচুর লিচুর চাষ হয়।
যেভাবে যাবেন
সড়ক ও রেলপথে ঢাকা থেকে দিনাজপুর যাওয়া যায়। এ পথের বাসগুলো সাধারণত ছাড়ে ঢাকার গাবতলী ও কল্যাণপুর থেকে। নাবিল পরিবহনের এসি বাসের ভাড়া ১ হাজার টাকা।
এছাড়া নাবিল পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, এস আর ট্রাভেলস, কেয়া পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন ইত্যাদি নন এসি বাসের ভাড়া ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা।
ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে আন্তঃনগর দ্রুতযান এক্সপ্রেস সপ্তাহের বুধবার ছাড়া প্রতিদিন ছাড়ে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে।
আন্তঃনগর একতা এক্সপ্রেস মঙ্গলবার ছাড়া প্রতিদিন ছাড়ে সকাল ১০টায়।
ভাড়া শোভন সিট ৩৩৫ টাকা, শোভন চেয়ার ৪৩০, প্রথম শ্রেণী চেয়ার ৫৭০, প্রথম শ্রেণী বার্থ ৮৫৫, এসি চেয়ার ৭১৫, এসি বার্থ ১,২৮৫ টাকা।
যেখানে থাকবেন
দিনাজপুর শহরে থাকার জন্য ভালো মানের হোটেল হচ্ছে পর্যটন মোটেল (০৫৩১-৬৪৭১৮)। এসি রুমের ভাড়া ১৭শ’ থেকে ২২শ’ টাকা। এছাড়া দিনাজপুরের অন্যান্য সাধারণ মানের হোটেলে ১শ’ থেকে ১২শ’ টাকায় রাত কাটানোর ব্যবস্থা আছে।
কয়েকটি সাধারণ মানের হোটেল হল: মালদহ পট্টিতে হোটেল ডায়মন্ড (০৫৩১-৬৪৬২৯)। নিমতলায় হোটেল আল রশিদ (০৫৩১-৬৪২৫১)। হোটেল নবীন (০৫৩১-৬৪১৭৮)। হোটেল রেহানা (০৫৩১-৬৪৪১৪)। নিউ হোটেল (০৫৩১-৬৮১২২) ইত্যাদি।