গুলশান এলাকার মাঝ বরাবর দক্ষিণ থেকে উত্তর দিকে এগিয়ে যাওয়া গুলশান অ্যাভেনিউ ও তার আশপাশের প্রতিষ্ঠিত খাবারের দোকান নিয়ে এবারের আয়োজন।
Published : 09 Feb 2014, 05:47 PM
নান্দোজ
বাড়ি এসই(এফ), ১ গুলশান অ্যাভনিউ
আন্তর্জাতিক চেইন রেস্তোরাঁ চিকেনের নানান পদ আর ‘আসল’ পেরি পেরি সসের জন্য বিখ্যাত। পাশের এলাকা বনানীর আউটলেটের মতো এখানেও এসপেতাদা ও এসপেতাদা রাস্তিকা বেশ বিক্রি হয়। আরও আছে ১/৪ চিকেন পেরি পেরি (ওয়াইল্ড)। দু’জনে তিন ধরনের খাবার খেতে ১৭শ’ টাকার মতো খরচ হতে পারে। প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকে। আসন সংখ্যা তিনতলা মিলিয়ে ১৪০। এছাড়া খোলা জায়গায়ও বসার ব্যবস্থা রয়েছে। সঙ্গে আছে ওয়াইফাই সুবিধা।
বারিস্তা
বাড়ি এসই(এফ), ১ গুলশান অ্যাভনিউ
বারিস্তা লাভাজ্জা ব্র্যান্ডের কফি বিন দিয়ে কফি প্রস্তুত করে। এসপ্রেসো, কাপুচিনো, লাটে, মোকাসহ আরও নানান রকমের কফি পাওয়া যায়। আছে ৬ ধরনের স্যান্ডউইচ, বিভিন্ন ধরনের কেক, ডোনাটস এবং আরও নানা প্রকার মিষ্টি। গুলশান আউটলেটের আসন ব্যবস্থা ৩০ জনের জন্য। সকাল ৭টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এই কফি শপ খোলা থাকে। রয়েছে ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহারের সুযোগ।
কেএফসি
বাড়ি ১০, গুলশান অ্যাভনিউ
বাংলাদেশের পতাকার মোটিফে সাজানো অন্য আউটলেটগুলো থেকে গুলশানের কেএফসি নিয়ে আলাদা কিছু বলার নেই। হট অ্যান্ড ক্রিসপি, জিঞ্জার বার্গার, হট জিঞ্জার বার্গার বেশ বিক্রি হয়। দু’টি ফ্লোর মিলিয়ে আসন সংখ্যা ২৪০। দু’জনের সর্বনিম্ন খরচ পড়বে ১ হাজার টাকা। সময় : প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ১২টা।
পিৎজা হাট
রোড ১৪০, গুলশান অ্যাভনিউ সাউথ
বিশ্বজুড়ে পিৎজার জন্য অন্যতম বড় একটি চেইন রেস্তোরাঁ। আধুনিক অন্দর সজ্জায় সজ্জিত এই বিক্রয়কেন্দ্রে বসতে পারে ২৫০ জন। সুপ্রিম পিৎজা, বারবিকিউ চিকেন, দ্য ওয়ার্কস বেশ বিক্রি হয় এখানে। ড্রিংকসের তালিকায় রয়েছে গ্রিন অ্যাপল মোহিতোর মতো জুস, আরও বিভিন্ন প্রচলিত কোমল পানীয়তো রয়েছেই। দু’জনের তিন ধরনের খাবার খেতে খরচ পড়বে ১৪শ’ টাকা। সকাল ১০টা থেকে ১০টা রাত পর্যন্ত খোলা থাকে।
অ্যাবাকাস
স্টার সেন্টার, রোড ১৩৮ গুলশান অ্যাভনিউ সাউথ
ইন্ডিয়ান, থাই ও চাইনিজ— প্রচলিত খাবারের রেস্টুরেন্ট। রয়েছে মুভএনপিক আইসক্রিম। লাঞ্চ আওয়ারে আছে সেট মেন্যু। গুলশানে এদের ৭৫ জনের আসন ব্যবস্থা রয়েছে। জনপ্রিয় খাবার— থাই সুপ, সিজলিং বিফ, ফ্রাইড চিকেন। সকাল ১২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা।
ভিলেজ
বাড়ি ৩৩, গুলশান অ্যাভনিউ
প্রথমেই বলা যায়, তিনতলা জুড়ে পাঁচশো জনের ধারণক্ষমতা রেস্তোরাঁ গুলশানে খুব বেশি নেই। উপমহাদেশীয় খাবারের আধিক্য রয়েছে মেন্যুতে। শেফ তলিকায় আছেন ভারত ও পাকিস্তানের কয়েকজনও। তাই ভারতীয় ও পাকিস্তান অঞ্চলের খাবারের ‘আসল’ স্বাদ পেতে পারেন বলে আশা করা যায়। এদের এখানে একটি মজার ব্যবস্থা আছে। লাঞ্চে প্রতি গ্রাম ১ টাকায় বুফে খাওয়া যায়। যদিও অনেকের মতে এতে খরচ বেশি হয়। খোলা থাকে দুপুর ১২টা থেকে রাত ১১টা।
ফখরুদ্দিন বিরিয়ানি অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট
বাড়ি ৩৭, সাউথ গুলশান
১৬ শতকের মোগল খাবারের সমাহার নিয়ে এসেছে ফখরুদ্দিন বিরিয়ানি। কচ্চি বিরিয়ানি, চিকেন বিরিয়ানি, তেহারি খেতে গুলশান ১ নম্বর গোলচক্করের একেবারে কাছে ফখরুদ্দিন বিরিয়ানিতে ঢুঁ মারতে পারেন। রান্না করা খাবার আসে পুরান ঢাকা থেকে। প্রতিদিন সরবরাহের সময় দুপুর ও সন্ধ্যা। তাই দুপুর ১২টা থেকে দুপুর আড়াইটা এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে আটটার মধ্যে আসলেই এদের খাবারের স্বাদ নিতে পারবেন। আসন ব্যবস্থা ৬৫ জনের। পার্সেল নেওয়ার ব্যবস্থা পাশাপাশি রয়েছে অগ্রীম অর্ডার দেওয়ার সুযোগ। হাফ প্লেট কাচ্চি বিরিয়ানির বর্তমান দাম ১৪০ টাকা।
বারবিকিউ ফ্লেইমস
বাড়ি ৫/এ, গুলশান অ্যাভনিউ
বারবিকিউ, ইতালিয়ান, কন্টিনেন্টাল ক্যুইজিনের খাবার পরিবেশন করে। তবে আসল পেশোয়ারি খাবারের স্বাদ পেতে পারেন আপনি এখানে। পেশোয়ারে জন্ম নেওয়া তিনজন শেফের হাতে তৈরি হয় নানান স্বাদের কাবাব এবং পেশোয়ারি নানরুটি। তাদের জনপ্রিয় তিন খাবার— মাটন রিবস, মাটন লেগস, কান্দাহারি নান। দু’জনের তিন কোর্স খেতে খরচ হবে ১২শ’ টাকা। দুটি প্রাইভেট রুমসহ এদের আসন ব্যবস্থা ১৭০ জনের। সময় সকাল সাড়ে ১১টা থেকে রাত পৌনে ১২টা।
ব্যাম্বু শ্যুট
আর এম সেন্টার, বাড়ি ১০১, গুলশান অ্যাভনিউ
চাইনিজ ও থাই খাবারের রেস্তোরাঁ। শহরের অন্যতম পুরাতন এই খাবারের দোকানে কোরিয়ান খাবারও পাওয়া যায়। জনপ্রিয় খাবার— স্টিমড অ্যালাইভ কিং সাইজ প্রন ইন ব্যাম্বু টুলি, সুইট অ্যান্ড সাওয়ার ফ্লাওয়ার ফিস, স্টিমড ফিস উইথ লেমন অ্যান্ড গারলিক। কর্তৃপক্ষের ভাষায়, “তিন বছর ধরে কাজ করছেন এমন দু’জন চাইনিজ শেফের হাতে ‘অথেনটিক চাইনিজ ফুড’ খাবার পরিবেশন করি।” রয়েছে আলাকার্ট মেন্যুতে খাবার খাওয়ার সুযোগ। প্রতিদিন দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ভোজনরসিকদের জন্য দরজা খোলা থাকে। তিন কোর্স খেতে দুইজনের খরচ ১ হাজার টাকা। আসন ব্যবস্থা ২০০ জনের, এরমধ্যে ২৪ ও ১৪ আসনের দুটি প্রাইভেট রুম রয়েছে। আরও রয়েছে ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার সুবিধা।
বেলা ইতালিয়া
বাড়ি ৭৬ (৩য় তলা) গুলশান
অনেক ভোজনরসিকই মনে করেন, ঢাকা শহরে ‘আসল’ ইতালিয়ান খাবারের স্বাদের জন্য অন্যতম এই রেস্তোরাঁ। খাবারের দামও নাগালের মধ্যে। ছিমছাম ও সাধারণ এর অন্দরসজ্জা। চেয়ার-টেবিল আর দেয়ালে সাঁটানো রোম শহরের কয়েকটি ছবি। বেলা ইতালিয়া ‘থিন ক্রাস্ট বেইজ’ দিয়ে পিৎজা তৈরি করে। উল্লেখযোগ্য পিৎজার মধ্যে আছে— পিৎজা বলোনয়েজ, পিৎজা বেলা ইতালিয়া, পিৎজা ফাংগি-ই-সসেজ (মাশরুম ও সসেজ)। পিৎজা বলোনয়েজ-ই-ওলিভো চেখে দেখার মতো। তাদের পিৎজার আকৃতি একটিই। স্বাদের উপর নির্ভর করে দাম পড়বে সাড়ে ৪শ’ থেকে সাড়ে ৬শ’ টাকা।
কেনি রজার্স রেস্টুরেন্ট
মলি ক্যাপিটা সেন্টার, ৭৬ গুলশান অ্যাভনিউ
কেনি রজার্স রেস্টুরেন্টে পাবেন নানান পদের রোস্টেড চিকেন। ‘গোপন রেসিপি’র মসলায় মাখানো মুরগির মাংস ১৫ ঘন্টা ম্যরিনেট করাকে নিজেদের মূল বৈশিষ্ঠ্য মনে করে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ। আসন সংখ্যা ৯২ জনের, রয়েছে কিডস জোন। ১৫ মিনিটে খাবার টেবিলে পৌছে দেওয়ায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তারা। রোস্টেড চিকেন, রোস্টেড চিকেন সালাদ, ক্ল্যাসিক চিকেন বেশ জনপ্রিয় পদ। এদের চিকেন রোস্টেড হওয়ায় ‘ফ্যাট নেই’ দাবি ব্যবস্থাপকের। অর্ডার নেওয়া হয় ১১টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত। ফ্রি ওয়াই ফাই ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে।
হেরিটেজ
বাড়ি ১০, রোড ১০৯, গুলশান অ্যাভনিউ
গুলশান ২ গোলচক্করের খুব কাছেই আহসান মঞ্জিলের আদলে গড়া রেস্তোরাঁ চালু হয় বাংলাদেশের সেলিব্রিটি শেফ টমি মিয়ার রেসিপিতে খাবার পরিবেশনের জন্য।। বিলাতের প্রক্ষাত শেফের ভাষায় ‘বাংলা ফিউশন ক্যুইজিন’। যার তিন কোর্স খেতে দু’জনের খরচ পড়বে সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা। রয়েছে মাত্র ৫৭০ (ভ্যাট ও সার্ভিস চার্জ বাদে) টাকায় ৩৫ পদ দিয়ে বুফে লাঞ্চ করার সুযোগ। দুইতলা মিলিয়ে ২৫০ জনের আসন ব্যবস্থা রয়েছে। সময় : দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর সাড়ে ৩টা এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা।
ডালভাত
ইষ্টার্ন নিবাস, বাড়ি ১৩৮ গুলশান অ্যাভনিউ
বাংলা খাবারের রেস্তোরাঁ। এদের ব্যবসার বয়স খুব বেশিদিন পার হয়নি। তবে গুলশান এলাকায় দেশি খাবারের খুব বেশি রেস্তোরাঁ না থাকায় ভর্তা সহযোগে ডাল ও ভাত খেতে এখানে যেতে পারেন। মাছ ও মাংসের পদতো আছেই। সঙ্গে অন্তত ৬ প্রকারের ভর্তা পাওয়া যায় প্রতিদিন। আরও আছে, আটার রুটি ও নানরুটি, ডাল চচ্চড়ি ও ডাল, সবজি ও ভাজি। দু’জনের সর্বনিম্ন খরচ পরবে ৫০০ টাকা। এদের আসন ৬০ জনের। সময় : সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা।
ডন জিয়োভান্নি
বাড়ি ২ রোড ১২৩, গুলশান অ্যাভনিউ
১৯৯১ সাল থেকে ঢাকায় পিৎজার ব্যবসা করছে ‘ডন’। এখানে পিৎজা তৈরি হয় মাটির ওভেনে পুরানো কায়দায়। তাই অন্যান্য রেস্টুরেন্টের চাইতে এদের পিৎজার স্বাদ একটু হয়তো আলাদা লাগবে। বেশ একটি শান্ত পরিবেশ। আসন ব্যবস্থা ১৫০ জন। দু’জনে তিন পদ খেতে সর্বনিম্ন খরচ ২ হাজার টাকা। রাখা আছে পিয়ানো। কারো জানা থাকলে খাওয়ার ফাঁকে বাজাতেও পারবেন। দুপুর ১২টা থেকে দুপুর ৩টা এবং সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ১০টা পযন্ত খোলা।
দ্য কার্ট কোম্পানি
বাড়ি ৭৬/২, রোড ২৭, গুলশান অ্যাভনিউ
ভাবুনতো গুলশান এভিনিউতে সারাদিন জট পাকিয়ে থাকা জ্যাম থেকে মাত্র ১৫ গজ দূরে, বড় কাঁঠাল গাছের ছায়ায় হাত-পা ছড়িয়ে খাবার খেতে কেমন লাগবে? তাও যদি হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ান খাবার। এরকমই আয়োজন নিয়ে বসেছে এই রেস্তোরাঁ। গুলশানের অন্যান্য রেস্টুরেন্টের চাইতে পরিবেশ একেবারেই আলাদা। এদের মাসাল্লাহ চিকেন বিরিয়ানি, নাসে গোরেং, আলু পরোটার সঙ্গে কালাভুনা বেশ জনিপ্রয় পদ। মাথার উপর গাছের ছায়ায় বিছানো টেবিলে হাত-পা ছড়িয়ে আড্ডা দিতে পারেন খেতে খেতে। আসন সংখ্যা ৬০ জনের। খোলা থাকে দুপুর ১২টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত।
সিগনেচার
বাড়ি ৫৪/এ, গুলশান অ্যাভনিউ
থাই ও কন্টিনেন্টাল কুজ্যিনের রেস্টুরেন্ট। পাতথাই নুডলস, শেফস স্পেশ্যাল, থাই ঘরানার স্টিমড ফিশ উইথ লেমন সস বেশ বিক্রি হয় এদের এখানে। এছাড়া নিজস্ব রেসিপির হরেক পদের মকটেলও বেশ বিক্রি হয়। ৭৫ জনের আসন সংখ্যা। তিনজনের তিন পদ খেতে সর্বনিম্ন খরচ ১ টাকা। সময় : দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ৩টা। সন্ধ্যা ৬টা থেকে পৌনে ১১টা। ফ্রি ওয়াইফাই ব্যাবহারে সুবিধা রয়েছে।
কফি রিপাবলিক
বাড়ি ৫৪/এ, গুলশান অ্যাভনিউ
রাজধানীর বেশ কয়েকটি কফি শপের মধ্যে সদ্য চালু হওয়া কফি রিপাবলিক অন্যতম। নিজস্ব কারখানায় রোস্ট করা কফিবিন ব্যবহার করে তারা। দামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সার্ভিসের কারণে কফি পান ও আড্ডার সময় বেশ আয়েশে কাটনো যায়। আসন সংখ্যা ৫২ জন। পাশাপাশি গিটার বাজিয়ে সময় কাটাতে পারেন। আরও রয়েছে ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা। কফির পাশাপাশি ব্রেকফাস্ট মেন্যু চালুর পরিকল্পনা করছে তারা। সময় : সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা।
ব্যটন রুজ
পিঙ্ক সিটি, বাড়ি ১৪, গুলশান অ্যাভনিউ
শুরুর সময় এই রেস্তোরাঁ একশো এক পদের বুফে নিয়ে হাজির হয়েছিল ভোজনরসিকদের কাছে। এই বুফে ডিনারের জন্য প্রজোয্য। দুপুরে পাবেন একান্নটি পদ। রয়েছে চাইনিজ, ভারতীয় ও ইতালীয় কুইজিনের খাবার। দুপুরের জন্য খরচ পড়বে ৫৯৫ টাকা। রাতের জন্য খরচ পড়বে ৭৯৫ টাকা (ভ্যাট ও অন্যান্য সেবা বাদে)। অভিজাত এলাকা গুলশানে এতো পদের বুফে এই খরচে খুব বেশি জায়গায় পাওয়া যাবে না। এদের আসন বিন্যাস ৪৫০ জনের জন্য। লাঞ্চ বুফের সময় : দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা। ডিনার বুফের সময় : সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা।
স্প্যাগেতি জ্যাজ
রব ভবন (৫ম তলা), গুলশান সার্কেল-২
১৯ বছর আগে মারিও চিকোনো নামের একজন ইতালীয় ‘স্প্যাগেতি জ্যাজ’র কর্মচারীদের হাতে কলমে শিখিয়ে দেন ইতালিয়ান খাবার তৈরির কৌশল। এখনও সেই কৌশল মেনেই খাবার প্রস্তুত করা হয়। রেস্তোরাঁয় ঢুকতেই চোখে পড়বে বিশ্বখ্যাত জ্যাজশিল্পীদের ছবি। এখানে খাবারের পাশাপাশি রয়েছে সংগীতায়োজন। প্রতি মাসের অন্তত ১টি দিন কোনো একটি ব্যান্ড এখানে সংগীত পরিবেশন করেন। বসার ব্যবস্থা ১৪০ জন। অন্দরসজ্জায় কিছুটা ইউরোপীয় ছোয়া খুজে পাওয়া যায়। তাদের বিভিন্ন পিৎজার মধ্যে— পিৎজা বলোনয়েজ, পিৎজা আমেরিকানা, পিৎজা জ্যাজ, পিৎজা কালজোনে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এদের পিৎজার একটিই আকৃতি। স্বাদ ভেদে দাম ৫৮০ টাকা থেকে ৭৫৫ টাকা।
মারমেইড ক্যাফে
ভবন মার্কেট, বাড়ি ১৬০ গুলশান সার্কেল-২
দেড়শো জনের বসার ব্যবস্থা নিয়ে চমৎকার অন্দরসজ্জায় হজির হয়েছে মারমেইড ক্যাফে রেস্তোরাঁ। ভেতরের প্রতিটি চেয়ার ও টেবিল তৈরি হয়েছে জাহাজের ব্যবহৃত কাঠ দিয়ে। প্রকৃতি প্রতি যত্ন ও ভালোবাসার এ কাজটি করেছে রেস্তোরাঁর কর্তৃপক্ষ। খাবারে ব্যাবহার করা হয় ইটালিয়ান অলিভ অয়েল। দু’জনের জন্য তিন কোর্সের ডিনারে খরচ পড়বে ২ হাজার টাকা। সময় : দুপুর ১২টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা।
ছবি : মিথুন বিশ্বাস ও সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁর সৌজন্যে