ত্বককে শরীরের রক্ষাকবচ বললে হয়তো খুব বেশি ভুল বলা হবে না। ত্বকে যদি কোনো ছোটখাটো সমস্যা হয় তবে সেগুলো নিজেই হাতের কাছের মৌসুমি ফল দিয়ে সারিয়ে নিতে পারবেন। বিস্তারিত জানাচ্ছেন আকাঙ্খা’স গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অ্যারোমা থেরাপিস্ট জুলিয়া আজাদ।
Published : 02 Sep 2013, 03:44 PM
এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো ব্যাপার। যে ফল খেতে পছন্দ করেন, ত্বকের যত্নেও সেই ফল দিয়েই করা হল। জেনে নিন কীভাবে মৌসুমি ফল দিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়।
কমলালেবু : যদিও শীতকালের ফল, তবে এখন সারা বছরই কমবেশি পাওয়া যায়। কমলালেবুর রস ১ চা-চামচ ও মধু ১ চা-চামচ নিয়ে একটু হালকা গরম করে মুখে লাগান। ২-৩ মিনিট হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। ২ মিনিট অপেক্ষা করে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন। অল্পতেই ত্বকের ক্লান্ত ভাব কেটে যাবে।
কমলালেবুর খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে স্ক্রাবার বা মুখ পরিষ্কারের উপাদান বানানোর কথা তো সবাই জানেন। যদি কারও এটা করতে ঝামেলা মনে হয় তাদের জন্য সহজ উপায়-- কমলালেবুর খোসা বাইরের দিক দিয়ে কাটা চামচের সাহায্যে কেচে নিয়ে, হালকা করে হাতে ও মুখে ঘষুন। ৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
এভাবে মাঝে মাঝে করুন। হাত ও পায়ের কালো হয়ে যাওয়ার সমস্যা ঠিক হতে সময় লাগবে না।
তরমুজ : গরমে বাইরে বের হলে একটুতেই ত্বক পুড়ে যায়। পোড়া ত্বকে তরমুজ চটকে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। কয়েক দিন এভাবে করলে পোড়া ভাবটা কমে যাবে।
মাল্টা : যে কোনো ত্বকের পক্ষে উপকারী একটি ফল। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ত্বকের নির্জীব ভাব কাটিয়ে দিতে সক্ষম।
কদবেল : মেসতার জন্য কার্যকর একটি ফল। আর একটি গুণ হলো, ক্লিনজার হিসেবেও খুব ভালো কাজ করে।
ঝলমলে চুলের জন্য
পাকা কলার সঙ্গে মধু ভালো করে মিশিয়ে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগান। ১ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটা চুলে ন্যাচারাল কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করবে।
সুস্থ ও সুন্দর থাকার জন্য ত্বকের নিয়মিত যত্ন নেওয়া একান্ত জরুরি। ঝকঝকে ত্বক পেতে কে না চায়! তাই নিজের জন্য একটু সময় রাখুন। অবসরে রূপচর্চা করুন। এতে সময়ও বাঁচবে, ত্বকও ভালো থাকবে।
মডেল : তানিয়া। মেইকআপ : ফেয়ার টাচ। ধন্যবাদান্তে : নাহিদা খাতুন। ছবি : অপূর্ব খন্দকার