‘ডিটক্স ফুড’ বা শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে দেওয়ার জন্য রয়েছে নানান রকম খাবার।
Published : 13 Jan 2016, 03:25 PM
আর সঠিক ডিটক্স খাবার চিনে নেওয়ার পদ্ধতি জানিয়েছে ভারতের একটি স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট।
অনেকেই মনে করে ডিটক্স ডায়েটের অর্থ হচ্ছে না খেয়ে থাকা অথবা স্বাদহীন খাবার খাওয়া।
খাদ্য তালিকা থেকে চিনি কমানো ডিটক্স করার অন্যতম একটা উপায়। চলুন চিনে নেওয়া যাক কিছু ডিটক্স খাবার।
ডাবের পানি: এতে খুব কম পরিমাণে ক্যালোরি, সোডিয়াম থাকে। কোনো কোলেস্টেরল এবং চর্বি থাকে না। তাই ডাবের পানি ডিটক্স খাদ্য তালিকায় একটি আদর্শ উপাদান হতে পারে। এটি দেহের ত্বকে চমৎকার কাজ করতে পারে। ত্বককে ভিতর থেকে আর্দ্র রাখে এবং দ্রুত খাদ্যকে পরিপাকে সাহায্য করতে ডাবের পানির জুড়ি মেলা ভার।
সবুজ সবজি ও শাক: আপনার রেফ্রিজারেটর সবুজসবজি ও শাক যেমন, পালংশাক, লেটুসপাতা, বাঁধাকপি, অ্যাসপারাগাস, সেলেরি, ব্রোকলি ইত্যাদি দিয়ে ভরে ফেলুন। সবুজ খাদ্য তালিকা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে অনেক লাভবান করবে। প্রতিদিন এক গ্লাস সবজির রস বা এক বাটি সালাদ শরীরে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আনে।
আদা ও রসুন: চিকিৎসার কাজে ও স্বাস্থ্য গঠনে আদার সুনামের কথা সবাই জানে। তবে রান্নার কাজে ব্যবহার ছাড়াও আদা খেতে পারেন চায়ে ফেলে বা শুধুই গরম পানিতে ভিজিয়ে। এভাবে প্রতিদিন আদা খেলে যকৃত উপকৃত হয়।
রসুন আরেকটি অপরিহার্য ডিটক্স খাবার। এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয়।
আঁশযুক্ত খাদ্য: বাদাম, ডাল, শিমজাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে আঁশ ধারণ করে। এ খাবারগুলোও শরীরের বিষাক্ত উপাদান বের করতে পারে।
লেবু: প্রতিদিন সকালে যদি এক গ্লাস লেবুর রস মেশানো পানি পান করেন তবে শরীর থেকে সকল বিষাক্ত পদার্থ সম্পূর্ণভাবে দূর হয়ে যায়। পাশাপাশি লেবুর রস হজম শক্তিও বাড়ায়।
গ্রিন টি: এই চা ছাড়া ডিটক্স খাবারের তালিকা সম্পূর্ণ হতে পারে না। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা শরীরে থাকা ফ্রি র্যাডিকেল বা মুক্ত মৌল ধ্বংস করে, শরীরের চর্বির ক্ষয় বৃদ্ধি করে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এমনকি টাইপ টু ডায়াবেটিসও রোধ করে।