স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ক্লান্তি এবং অবসাদ দূর করতে কিছু অভ্যাস ত্যাগ করা এবং কিছু বিষয় খেয়াল রাখার কথা উল্লেখ করা হয়।
স্বাস্থ্যকর প্রোটিন গ্রহণ
দেহের গঠন কেমন হবে তা নির্ভর করে কোন ধরনের প্রোটিন গ্রহণ করা হচ্ছে তার উপর। তাই দিনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ খাবারে পরিমাণ মতো স্বাস্থ্যকর প্রোটিন থাকা জরুরি।
চিনি এড়িয়ে চলুন
অতিরিক্ত চিনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে আনে। শ্বেত রক্তকণিকার স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডেও বাধা সৃষ্টি করে অতিরিক্ত চিনি। তাছাড়া প্লাস অরেক্সিন নামক একটি কেমিকল যা মস্তিষ্ককে কর্মচঞ্চল রাখে তা তৈরিতেও বাধা তৈরি করে।
ম্যাগনেসিয়ামজাতীয় খাবার গ্রহণ
ম্যাগনেসিয়ামের অভাব শরীরের কোষে শক্তি উৎপাদনের পরিমাণ কমিয়ে আনে। ফলে শরীরে অবসাদ চেপে বসে। তাই খাবারের তালিকায় ম্যাগনেসিয়ামজাতীয় খাবার রাখা জরুরি।
অতিরিক্ত ক্যাফেইনকে না
ঘুম তাড়াতে বা ঝরঝরে থাকতে যদি কফি পান করার অভ্যাস থাকে তা এখনই ত্যাগ করতে হবে। কারণ ক্যাফেইন শরীরে পানির অভাব তৈরি করে আর এতে শরীরে কান্তি চেপে বসে।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ভিটামিন ‘অ্যাড্রেনার গ্ল্যান্ডস’ ভালো রাখতে সাহায্য করে। যা সরাসরি মানসিক চাপের সঙ্গে যুক্ত। আর শরীরে শক্তি তৈরিতেও কাজ করে এই ভিটামিন।
চর্বি পরিহার
চর্বিযুক্ত-‘রিচ ফুড’ হজম হতে সময় নেয়। ফলে শরীরের ভেতর চাপ সৃষ্টি করে। তাই দিনের শেষে উচ্চমাত্রার চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। কেননা, বেশি ফ্যাট খাবার খেলে হজমে শক্তি খরচ হয় বেশি। ফলে ঘুম থেকে উঠলেও মনে হয় শরীর অবসাদ ময়।
মসলা ও লতগুল্ম
হজম সহায়ক মসলা যেমন: আদা, গোলমরিচ, দারুচিনি, ফেনেল, রোজমেরি এবং রসুন খাদ্যতালিকায় বেশি রাখুন। কারণ খাবার আরামে হজম হলে অবসাদও দূর হবে।
ভিটামিন সি
জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাসের কারণে এই ভিটামিন শরীরে প্রায়ই দেওয়া হয় না। যার ফল হচ্ছে অবসাদ। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় লেবুজাতীয় ফল, পেয়ারা ও আমলকী রাখুন।
আয়রন গ্রহণ
রক্তের স্বাভাবিক গঠন ও কার্যক্রমের জন্য আয়রন দরকার। এর অভাবে সরাসরি যা হয় তা হল: রক্তশণ্যতা, অবসাদ ও বিপাকীয় কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলা।
ছবির প্রতীকী মডেল: আলিফ। ছবি: ই স্টুডিও।