ভূপেন হাজারিকা হবেন প্রসেনজিৎ

বাংলা সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী প্রয়াত ভূপেন হাজারিকাকে নিয়ে কল্পনা লাজমি পরিচালিত সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করবেন প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি।

ইরা ডি. কস্তাবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 April 2014, 11:55 AM
Updated : 13 April 2014, 11:55 AM

টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানায়, তিনটি ভাষায় নির্মিত হবে হাজারিকার ওই বায়োপিক। ইংরেজিতে সিনেমাটির নাম হবে ‘দ্য টেম্পেস্ট’, বাংলায় নামকরণ করা হবে ‘কালবৈশাখী’ এবং অহমিয়া ভাষায় নির্মিতব্য সিনেমাটির নাম হবে ‘ধুমুহা’।

লাজমি নিজে প্রসেনজিতের ভূপেন হাজারিকার চরিত্রে অভিনয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। লাজমির মতে, হাজারিকার মতো একজন শিল্পীর চরিত্রকে শুধুমাত্র প্রসেনজিৎই নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।

লাজমি বলেন, “প্রসেনজিৎ ছাড়া ভূপেনদার অসাধারণ চরিত্র বড় পর্দায় আর কেউই ফুটিয়ে তুলতে পারবেন না। আমি ভূপেন হাজারিকার বায়োপিক তৈরি করছি, এটি জানানোর পর প্রসেনজিৎ আমার সঙ্গে কথাও বলেছেন।”

লাজমি আরও বলেন, “ভূপেনদা অনেক রোমান্টিক একজন মানুষ ছিলেন। আর সেই বিষয়টি শুধু প্রসেনজিৎই ফুটিয়ে তুলতে পারবেন। তবে আমার চরিত্রতে কে অভিনয় করবে তা এখনও জানি না।”

নিজের এবং হাজারিকার সম্পর্ক নিয়েই বায়োপিকটি তৈরি করবেন লাজমি। ২০১৩ সাল জুড়ে তিনি পুরনো স্মৃতিগুলোকে নতুন করে মনে করছিলেন বলে মন্তব্য করেন ‘রুদালি’ সিনেমার পরিচালক।

এদিকে লাজমি তাকে হাজারিকার চরিত্রের জন্য বেছে নেয়ায় দারুণ আনন্দিত প্রসেনজিৎ। তিনি বলেন, “এটি আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের বিষয়।”

পশ্চিম বাংলা, বাংলাদেশ, আসাম এবং নিউ ইয়র্কে সিনেমাটির শুটিং হবে। এ বছরের শেষার্ধে সিনেমাটির কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট একজন।

কল্পনা লাজমি ১৭ বছর বয়সে তার চেয়ে ২৮ বছরের বড় ভূপেন হাজরিকার সঙ্গে থাকার জন্য ঘর ছাড়েন। ৮০ বছর বয়সে হাজারিকা তাকে বিয়ে করতে চান। তবে লাজমি তখন বলেন, “কাগজের টুকরা সম্পর্কের মূল্যায়ন করতে পারে না।”

লাজমির ভাষ্য অনুযায়ী, হাজারিকা দীর্ঘ ৪০ বছরের সম্পর্কে তার সঙ্গে কোনো প্রকার বিশ্বাসঘাতকতা করেননি। এই দীর্ঘ সম্পর্কে কোনো ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হননি তারা। আর তাই ‘লিভ টুগেদার রিলেশনে’ কোনো সমস্যা দেখেন না তিনি।

১৯২৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আসামে জন্ম নেন বাংলার কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী ভূপেন হাজারিকা। ২০১১ সালের ৫ নভেম্বর ৮৫ বছর বয়সে তিনি মুম্বাইয়ে মারা যান। পদ্মভূষণ, পদ্মশ্রী, অসম রত্ন ইত্যাদি খেতাব পেয়েছেন তিনি।