জাফনা মিউজিক ফেস্টিভ্যাল মূলত শ্রীলঙ্কা ও নরওয়ে সরকারের সংগীতক্ষেত্রে সৌহার্দ ও সহযোগিতার বিনিময়ের মাধ্যমে সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ। আয়োজনের শুরু ২০০৯ সালে। তখন থেকেই তাদের সঙ্গে আছে ইউনাইটেড স্টেটস অ্যাজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)।
উৎসবে অংশ নিতে লালনের সদস্যরা ঢাকা ছেড়ে যাবেন ২৭ মে।
ব্যান্ডটির লাইন আপে আছেন - নিগার সুলতানা সুমি, থিন হান মং তিতি, আশফাক আহমেদ তুর্য, রাফি ইসলাম রাফি ও জুলকার নাইন রাতুল।
লালন ব্যান্ডের প্রথম পরিবেশনা ২৯মে চিল্ড্রেন ফেস্টিভ্যালে। একই দিনে শুরু হওয়া মূল আয়োজন জাফনা উৎসবের মঞ্চে উঠবেন ৩০ মে। এরপর তারা কলম্বো কনসার্টে অংশ নেবেন ৩১ মে।
লালন ব্যান্ডের প্রধান থিন হান মং তিনি গ্লিটজকে বলেন, “শিশুদের জন্যই প্রথম চিন্তা আমাদের। তাদের সামনে নিজেদের কৃষ্টি-ঐতিহ্যের উদাহরণ দেওয়ার পাশাপাশি আলাদাভাবে তুলে ধরার উদ্দেশ্যে আমরা প্রথমবারের মতো দোতরা নিয়ে মঞ্চে উঠবো। ‘চাতক’ গানটিতে দোতরা বাজাবেন সুমি। এছাড়া শ্রীলঙ্কান ঢোলকেও অর্ন্তভুক্ত করা হবে দেশী ঢোলের বিকল্প হিসেবে।”
তিনি আরও জানান, ব্যান্ডের ভোকালিস্ট সুমি দীর্ঘদিন ধরেই দোতরা বাজানোর চেষ্টা করছেন। তার প্রমাণ পাওয়া যাবে এবার।
তৃতীয়বারের মতো হতে যাওয়া এ উৎসবটি ইতোমধ্যেই শিল্প ও সংগীতপ্রিয় শ্রীলঙ্কান, এমনকি পর্যকদের মধ্যেও বেশ সাড়া ফেলেছে। ২০১৩ সালের আয়োজনটিতে প্রতিদিনের গড় উপস্থিতি ছিল ২৫ হাজার জন।
শ্রীলঙ্কায় অবস্থিত নরওয়ে দূতাবাসের অর্থায়নে উৎসবটির ব্যবস্থাপক সেভেলাংকা ফাউন্ডেশন ও কনসার্ট নরওয়ে (রিকসকনসারটেনা)।
বাংলাদেশে অবস্থিত নরওয়ে দূতাবাস জানায়, কনসার্ট নরওয়ের বাংলাদেশী অংশীদার লাইভ স্কয়ারের একটি প্রতিনিধি দলও যাচ্ছে লালনের সঙ্গে।
উৎসবটিতে এ বছর ভারতীয় দল ছাড়াও স্থানীয় দল হিসেবে অংশগ্রহণ করছে বাঙ্কু রাবান, সাবরাগামুয়া বালি, ইয়ালি কারমাইয়া সাঙ্গামাম, সুফিসহ আরও অনেকে।