সেরা ব্যান্ডের খেতাব জয় দিয়ে আত্মপ্রকাশ। তারপর ১৫ বছরে দুটি অ্যালবাম, একটি সিঙ্গেল - মাঝে এক যুগের নিরবতা। অবশেষে ফিরেছে ভাইকিংস।
Published : 21 Jul 2014, 03:46 PM
সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে রক ধাঁচের ব্যান্ডটির তৃতীয় অ্যলবাম ‘রানআউট’।
ব্যান্ডের ভোকালিস্ট তন্ময় তানসেন নির্মিত ‘রানআউট’ সিনেমায় ব্যবহৃত ছয়টি গান নিয়েই এই অ্যালবাম।
তন্ময় গ্লিটজকে বলেন, “সিনেমার কাজ শুরু করার সময় প্রযোজকের মাথায় বুদ্ধি আসে, ভাইকিংসকে দিয়ে গান করাবে। তিনি আমাকে এই প্রস্তাব দেন।”
“সিনেমাতে রক গান হবে। সবকিছু মিলিয়ে এক ধরনের কৌতুহল তৈরি হয় ব্যান্ডের ভেতর।এভাবেই ফিরে আসা।”
এরপর শুরু হয় রেকর্ডিং এর কাজ। কিবোর্ডিস্ট বাবু দেড় মাসের জন্য দেশে এসে নিজের কাজটুকু করে দিয়ে যায়।
অ্যালবামের ছয়টিসহ মোট সাতটি গান ব্যবহার করা হয়েছে সিনেমায়।
তন্ময়ের মতে, সবগুলো গানই ভাইকিংসের। কারণ, সিনেমার জন্য গান - এই বিষয়টি মাথায় রাখেনি তারা। ভাইকিংস যে ধরনের গান করে সেটাই সিনেমার জন্য করা হয়েছে।
চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যান্ড ভাইকিংস সেরা ব্যান্ডের খেতাব জেতে ‘বেনসন অ্যান্ড হেজেস’-এর ১৯৯৯ সালের আসরে। ২০০০ সালে ব্যান্ডটি প্রকাশ করে ‘জীবনের কোলাহল’ ও ২০০২ সালে প্রকাশ করে ‘দিন যতো দুঃখ ততো’। ২০০১ সালে কণ্ঠশিল্পী কানিজ সুবর্ণার সঙ্গে প্রকাশিত হয় তাদের একমাত্র সিঙ্গেল ‘ভালোবাসি যারে’।
২০০৩ সালের প্রথম ভাগ পর্যন্ত কনসার্ট কিংবা শো করতে দেখা গেছে। এরপর একেবারেই লাপাত্তা।
বাবুর বিদেশ যাওয়াই কি দায়ী?
তন্ময় বলেন, “এটা হয় না? না থাকতে থাকতে অভ্যাস তৈরি হয়ে যাওয়া।”
আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে তারা রিমেইক অ্যালবাম প্রকাশ করার পরিকল্পনা করছে। ২০১৬ সালের দিকে আসতে পারে তাদের চতুর্থ স্টুডিও অ্যালবামটি।
“আমাদের পুরোনো গানের মধ্যে থেকে দশটি গান নিয়ে রিমেইক অ্যালবাম করব। প্রত্যেকটি গান নতুন করে কম্পোজ করা হবে।”
তবে তার আগে ব্যান্ডটি কনসার্টে নিয়মিত হতে চায়।
তন্ময় আরও বলেন, “আমরা অবশ্যই লাইভে আসতে চাই। ভাইকিংস খুব লাইভ ওরিয়েন্টেড ব্যান্ড ছিল। একটা অ্যালবাম করার চাইতে আমরা লাইভ বেশি পছন্দ করি।”
লাইভে ব্যান্ডটিকে আগের লাইনআপেই দেখা যাবে। ব্যান্ডের লাইনআপ-- ভোকালিস্ট হিসেবে তন্ময় তানসেন, গিটার ও ব্যাকআপ ভোকালিস্ট সেতু চৌধুরী, কিবোর্ডিস্ট মাহবুব বাবু, ড্রামার সাইমন ও বেজিস্ট হিসেবে জনি।