বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রনালয় থেকে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার- ২০১৫’-এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এতে মাহফুজ আহমেদ-এর সঙ্গে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ নায়কের স্বীকৃতি পান শাকিব খান।
পুরস্কার অর্জনের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্লিটজকে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “আমাদের শিল্পীদের জন্য এটা সবচেয়ে বড় সম্মান। এই নিয়ে আমি তৃতীয়বারের মত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলাম। খবরটা শোনার পরেই আমি আনন্দে কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমি খুবই আনন্দিত।”
চলতি বছরে নানা কারণেই বারবার সংবাদের শিরোনামে এসেছেন শাকিব খান। কিছুদিন আগেই হঠাৎ করেই ছয় মাস বয়সী সন্তানসহ স্ত্রী অপু বিশ্বাসের গণমাধ্যমের সামনে আসার ঘটনা থেকে শুরু করে পরিচালক সমিতির তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণাসহ নানা কারণেই সময়টা ভালো যাচ্ছিল না তার।
তিনি বলেন, “জীবনটা আসলে জোয়ার ভাটার মত হয়। কখনো একটু খারাপ যাবে, আবার কখনো একটু ভালো যাবে। সবকিছু নিয়েই আসলে জীবন। তবে আমি সবসময় ভালো কিছু করার চেষ্টা করি। হয়ত অনেক সময় সম্ভব হয়ে উঠে না কিংবা পারি না। তবে যেহেতু এই পুরস্কারটা দেশের চলচ্চিত্রের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান। এই সর্বোচ্চ সম্মানটা যে পেয়েছি তা অবশ্যই নিজেকে অনেক বেশি চিয়ার-আপ করে। এটা নিজের কাজের গতি আরও বাড়িয়ে দেবে।”
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারটি কি একমাত্র সন্তানকে উৎসর্গ করবেন? এমন প্রশ্নে শাকিব খান গ্লিটজকে বলেন, “এখুনি এই বিষয়টি কেন আসছে? আগে পুরস্কারটা হাতে পাই, তখন সবকিছু বলা যাবে। পরিবারের বিষয়গুলো আমি কখনোই কেরিয়ারের সঙ্গে টানতে চাই না। আমার পরিবার ও আমার কাজ দুটোই আলাদা জগত।”
বর্তমানে শাকিব খান ‘রংবাজ’ সিনেমার দৃশ্যধারণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে সিনেমার বাকি অংশের দৃশ্যধারণের কাজ। শামীম আহমেদ রনী’র বদলে বর্তমানে সিনেমাটি নির্মাণ করছেন আবদুল মান্নান গাজীপুরী।
২০১০ সালে জাকির হোসেন রাজুর ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ সিনেমাতে অভিনয়ের জন্য প্রথমবার জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার পান শাকিব খান। এরপর ২০১২ সালে শাহীন সুমনের ‘খোদার পরে মা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।