হিন্দি সিনেমার অভিনেত্রী কারিনা কাপুরের আফসোস হয় কিনা জানা নেই, তবে নিজের অভিনয় ক্যারিয়ারে তার ফিরিয়ে দেওয়া সিনেসমার সংখ্যা কিন্তু নেহাত কম নয়।
ফিরিয়ে দেওয়া ছবিগুলোর একটিও ফ্লপ করেনি; হয়ত সিনেমাগুলো করলে তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরে যেতে পারত সেই সময়ে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক কারিনা তার ক্যারিয়ারের কোন ১০টি সিনেমা ফিরিয়ে দিয়েছেন।
হাম দিল দে চুকে সানাম
সঞ্জয় লীলা বনশালী পরিচালিত এ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন সালমান খান, অজয় দেভগান, ঐশ্বরিয়া রাই। ‘নান্দিনি’ চরিত্রের জন্য ঐশ্বরিয়ার জায়গায় প্রথমে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কারিনাকে। বক্স অফিসে দারুণ সারা ফেলা এই সিনেমা জিতে নেয় অসংখ্য পুরষ্কার। নান্দিনি চরিত্রে অভিনয় করে ঐশ্বরিয়া পান ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার।
কাহো না পেয়ার হ্যায়
রাকেশ রোশন পরিচালিত এই সিনেমায় কিছুদিন কাজ করে পরে পিছুটান দেন কারিনা। নবাগত হৃত্তিকের বিপরীতে কাজে আগ্রহী ছিলেন না তিনি। পরে আমিশা প্যাটেল তার জায়গায় অভিনয় করেন। সিনেমাটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
কাল হো না হো
কারিনার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় ভুল মনে হয় কারান জোহরের এই সিনেমাটি ফিরিয়ে দেওয়া। শাহরুখ খান, সাইফ আলি খান, প্রিতি জিনটা অভিনীত ত্রিমুখী প্রেমের এই গল্প আজও দর্শকের চোখে জল আনে। ন্যায়না চরিত্রটির কারিনাকে প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি তখন কারানকে না বলেন।
পেজ থ্রি
মধুর ভান্ডারকার পরিচালিত এই সিনেমায় কঙ্কণা শর্মার করা ‘মাধবী শর্মা’ চরিত্রটির জন্য কারিনাকেই প্রথমে বলা হয়েছিলো। ওই বছরের সেরা ফিচার ফিল্ম হিসাবে জাতীয় পুরস্কার পায় এটি।
ফ্যাশন
মধুর ভান্ডারকারের আরেকটি সফল সিনেমা এটি। ‘মেঘনা’ চরিত্রে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার চেয়ে কারিনাকেই বেশি মানাবে বলে ভেবেছিলেন পরিচালক। কিন্তু কারিনা এরকম চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি না হওয়ার প্রিয়াঙ্কার কাছে যান তিনি। এই সিনেমায় অভিনয় করে জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা।
চেন্নাই এক্সপ্রেস
রোহিত শেঠি পরিচালিত এই ব্লকবাস্টার হিট সিনেমায় শাহরুখ খানের বিপরীতে অভিনয় করেন দিপিকা পাড়ুকোন। তবে ‘মিনা’ চরিত্রে কারিনাকেই অফার দিয়েছিলেন রোহিত। সিনেমাটি ভারত এবং বিশ্বব্যাপি প্রশংসিত হয় কমেডি ডায়লগ এবং গানের জন্য। দিপিকা সেরা অভিনেত্রীর পুরষ্কার পান ফিল্মফেয়ারে।
গোলিও কি রাসলিলা: রামলিলা
সঞ্জয় লীলা বানসালির এই রোমান্টিক সিনেমাতে দিপিকা পাড়ুকোনের জায়গায় কারিনার অভিনয় করার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তিনি না বলে দেন। রনবির সিং আর দীপিকার জুটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায় এই সিনেমার পর। বক্স অফিসেও দারুণ সারা ফেলে এটি।
কুইন
ভিকাস বেহেল পরিচালিত এই সিনেমাতে কাঙ্গানা রানাউতের জায়গায় কারিনার থাকার কথা ছিল। সিনেমাটি জাতীয় পুরষ্কার পায়, কঙ্গনা জিতে নেন সেরা অভিনেত্রীর পুরষ্কার। এই সিনেমাই মোড় ঘুড়িয়ে দেয় কাঙ্গানার ক্যারিয়ারের।
দিল ধাড়াকনে দো
জয়া আক্তার পরিচালিত এই সিনেমায় থাকার কথা ছিল কারিনার। কিন্তু তার ফিরিয়ে দেওয়া চরিত্রে কাজ করেন আনুশকা শর্মা। সমালোচকদের কাছে দারুণভাবে সমাদৃত হয় সিনেমাটি।
শুদ্ধি
কারান মালহোত্রা পরিচালিত সিনেমাটি মুক্তি পাবে চলতি বছরের শেষের দিকে। কথা ছিল হৃত্বিক রোশানের বিপরীতে এই সিনেমায় ১৫ বছর পর আবার জুটি বাঁধবেন কারিনা। তবে হৃতিক রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সরে দাঁড়ান কারিনাও। তাদের জায়গায় সিনেমাতে দেখা যাবে আলিয়া ভাট ও ভারুন ধাওয়ানকে।