বক্স অফিসের শীর্ষে ‘স্টার ট্রেক বিয়ন্ড’

মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই মার্কিন বক্স অফিসে আধিপত্য বিস্তার করলো সাই-ফাই অ্যাকশন অ্যাডভেঞ্চার সিনেমা ‘স্টার ট্রেক বিয়ন্ড’। ‘স্টার ট্রেক’ রিবুট সিরিজের তৃতীয় কিস্তির সিনেমাটি প্রথম সপ্তাহেই আয় করেছে ৬ কোটি ডলার।

‘স্টার ট্রেক’ ফ্র্যাঞ্চাইজির ১৩ তম সিনেমা ‘স্টার ট্রেক বিয়ন্ড’-এর সঙ্গে বক্স অফিসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে অ্যানিমেটেড কমেডি ‘দ্য সিক্রেট লাইফ অব পেটস’। চার হাজারেরও বেশি হলে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটির যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সপ্তাহের আয় ২ কোটি ৮০ লাখ ডলার। সব মিলিয়ে অবশ্য গোটা বিশ্বে সিনেমাটির আয় ২৬ কোটি ডলার।

এদিকে ফক্স-এর অ্যানিমেটেড কমেডি ‘আইস এইজঃ কলিশন কোর্স’ হতাশাজনক ২ কোটি ১০ লাখ ডলার আয় করে আছে তৃতীয় স্থানে, যা মুক্তি পেয়েছিল প্রায় চার হাজার হলে। ধারণা করা হচ্ছে ‘দ্য সিক্রেট লাইফ অব পেটস’ এর সমসাময়িক মুক্তি ভাগ বসিয়েছে এর ব্যবসায়।

চতুর্থ অবস্থানে আছে হরর-থ্রিলার ‘লাইটস আউট’। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই আড়াই হাজারের বেশি হল থেকে সিনেমাটি্র বক্স অফিসে যোগ হয়েছে ২ কোটি ৪ লাখ ডলার।

শুধুমাত্র এই শুক্রবারেই ‘স্টার ট্রেক বিয়ন্ড’ এর আয় ২ কোটি ২০ লাখ ডলার, ‘লাইটস আউট’ এর আয় ৯০ লাখ ডলার , ‘দ্য সিক্রেট লাইফ অব পেটস’ এর আয় ৮৫ লাখ ডলার এবং ৭৬ লাখ ডলার আয় করেছে ‘আইস এইজঃ কলিশন কোর্স’।

তালিকায় প্রথমে থাকলেও ‘স্টার ট্রেক’ সিরিজের আগের দুইটি সিনেমার চেয়ে আয়ের দিক দিয়ে এখনও বেশ খানিকটা পিছিয়ে ‘স্টার ট্রেক বিয়ন্ড’। তবে ৫০ বছর আগে প্রচারিত মূল টিভি সিরিজ থেকে নির্মিত ১৩ টি সিনেমার প্রতিটিই এপর‌্যন্ত বক্স অফিসে পেয়েছে সাফল্যের স্বাদ।

এরই মধ্যে সোমবার প্যারামাউন্ট ঘোষণা দিলো ১৪ তম স্টার ট্রেক সিনেমার। যেখানে ক্যাপ্টেন কার্ক-এর সঙ্গে দেখা হবে তার বাবার। এই ভূমিকায় দেখা যাবে ‘থর’ খ্যাত অভিনেতা ক্রিস হেমসওয়ার্থকে। 

‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস সিক্স’-এর পরিচালক জাস্টিন লিন নির্মান করেছেন ‘স্টার ট্রেক বিয়ন্ড’। জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে সানডিয়েগো কমিক কনে সিনেমাটির প্রিমিয়ার হয়। ১৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বিশাল বাজেটের এই সিনেমায় এবার খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন  ইড্রিস অ্যালবা।