মিশরের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় আল-আযহারের তরফ থেকে ইরান সরকারের প্রতি সিনেমাটি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ধর্মতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ফাত্তাহ আলাওয়ারি বলেন, "বিষয়টি পূর্ব নির্ধারিত। শরিয়ায় নবীদের যে কোনো ধরনের উপস্থাপন নিষিদ্ধ।"
তিনি আরও বলেন, কোনো ব্যক্তি (অভিনেতা) যাকে স্ববিরোধী এবং সাংঘর্ষিক ভূমিকায় দেখা যায়, কখনো আমরা তাকে দেখি একজন পাড় মাতাল রূপে, কখনো নারীলিপ্সু হিসেবে...তারপর তিনি আবার নবীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন...এটা ইসলামে অনুমোদিত নয়।"
আরব বিশ্বে বিতর্কের তুঙ্গে থাকা এই সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন অস্কার মনোনয়ন পাওয়া ইরানি পরিচালক মাজিদ মাজিদি। সিনেমাটি নির্মাণে খরচ হয়েছে মোট চার কোটি ডলার। ইরানি সিনেমার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেটের সিনেমা এটি।
সম্প্রতি ইরানের এক রক্ষণশীল পত্রিকা হিজবুল্লাহ লাইনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মাজিদি বলেন, "পশ্চিমে যে হারে ইসলামভীতি তৈরি হচ্ছে, তা মোকাবেলা করার জন্য আমি এই সিনেমাটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেই। পশ্চিমে ইসলাম মানেই সবাই বোঝে সন্ত্রাস আর হিংস্রতা।"
১৭১ মিনিটের এই সিনেমাতে দেখানো হয়েছে মহানবী (সঃ) - এর শৈশবের গল্প। সিনেমাটির আরো দুটি সিকুয়াল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে মাজিদির।