১৭ জুলাই ভারতের সঙ্গেই ‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’ মুক্তি পেয়েছে পাকিস্তানে। ঈদ উপলক্ষে সেখানে আরও মুক্তি পায় উর্দু ভাষার সিনেমা ‘বিন রোয়ে’ এবং ‘রঙ নাম্বার’। কিন্তু ‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’-এর দাপটে টিকতে পারেনি কোনোটাই।
শুধু করাচি আর ইসলামাবাদেই ৬০ লাখ পাকিস্তানি রুপির ব্যবসা করেছে কবির খান পরিচালিত ‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’।
সিনেমাহল মালিক নাদিম মান্ধবিওয়ালার ভাষ্যে, শুক্রবারে মুক্তি পেয়ে প্রথম তিন দিনেই ‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’ আয় করেছে ৩২ লাখ রুপি। অপরদিকে পাকিস্তানের জনপ্রিয় তারকা মাহিরা খান-হুমায়ুন সাইয়্যিদ অভিনীত ‘বিন রোয়ে’ ব্যবসা করতে পেরেছে ২৮ লাখ রুপি।
এই তালিকায় সবচেয়ে পিছিয়ে আছে কমেডি ধাঁচের ‘রঙ নাম্বার’, সিনেমাটি আয় করেছে ২৭ লাখ পাকিস্তানি রুপি।
একই সময়ে দেশটির মাল্টিপ্লেক্স হলগুলোতে চলেছে ‘মিনিওন্স’, ‘টারমিনেটর: জেনেসিস’ এবং ‘অ্যান্টম্যান’-এর মতো হলিউডি সিনেমার প্রদর্শনী। কিন্তু ‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’-এর দিকেই ছুটেছে দর্শক।
পাকিস্তানে নিয়মিত মুক্তি পায় বলিউডি সিনেমা। তবে পাক-ভারত সম্পর্ক নিয়ে নির্মিত কোনো সিনেমা সাধারণত ছাড়পত্র পায়না। এই ধারায় ব্যতিক্রম ঘটিয়েছে সালমানের ‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’।
ভারতে এসে হারিয়ে যাওয়া এক বোবা পাকিস্তানি শিশুকে এক ভারতীয় বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযান নিয়ে নির্মিত ‘বাজরাঙ্গি ভাইজান’ পাকিস্তানি সেন্সরবোর্ড কমিটিতেও প্রশংসিত হয়েছে।
এতে সালমান খানের সঙ্গে অভিনয় করেছেন কারিনা কাপুর খান, নাওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি এবং হারশালি মালহোত্রা।