সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ ও আর্থিক সেবাভুক্তি বিভাগ থেকে এক সার্কুলার জারি করে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের খেলাপি ঋণ আদায় স্থগিত রাখা অথবা নতুন ঋণ প্রদান অথবা পুনঃতফসিল সুবিধা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে এক বৈঠকে কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা না করা, অনাদায়ী ঋণ আপসের মাধ্যমে আদায়ের পরামর্শ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপরও দেশের বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং পুলিশ কৃষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, তামাদি ঋণগুলো নিয়মিত করতে আপসরফার মাধ্যমে ইতিমধ্যে করা মামলা প্রত্যাহার বা নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
একইসঙ্গে মাসিক ভিত্তিতে মামলা নিষ্পত্তি বা প্রত্যাহার করা হলো তা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে বলা হয়েছে।
দেশে প্রায় দুই লাখ সার্টিফিকেট মামলা রয়েছে, যার বেশির ভাগই রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর। কৃষি ঋণের সিংহভাগও এই ব্যাংকগুলোই বিতরণ করে থাকে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, সার্টিফিকেট মামলা এড়াতে জন্য ব্যাংক-গ্রাহক উভয়ের সম্মতিতে অনাদায়ী ঋণগুলো ব্যালান্স কনফরমেশন সার্টিফিকেট, টোকেন মানি ইত্যাদির মাধ্যমে তামাদি হওয়া প্রতিবিধানে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে সার্টিফিকেট মামলা কোনোভাবেই না বাড়ে।
খেলাপি কৃষি ঋণ আদায়ে ব্যাংকগুলোকে তদারকি জোরদার করা প্রয়োজনে আলাদা সেল গঠনের পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কৃষিঋণের ব্যবহার, পরিশোধের গুরুত্ব, মামলার ভয়াবহতা ও পরিণতি সম্পর্কে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য সভা-সমাবেশ করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সার্কুলারে।
পাশাপাশি সহজ কিস্তি করে আদায়ের ব্যবস্থা, নিয়মিত ঋণ পরিশোধকারী কৃষককে পুরস্কার প্রদান এবং তা প্রচারের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।