পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার মো. সানোয়র হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের হাতে এ সনদ তুলে দেওয়া হয়।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ উপস্থিত ছিলেন ওই অনুষ্ঠানে।
ইলিশ বাংলাদেশের দ্বিতীয় পণ্য, যা শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর থেকে জিআই সনদ পেল।
ভৌগলিক নির্দেশক (জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন-জিআই) হচ্ছে- একটি প্রতীক বা চিহ্ন, যা পণ্য ও সেবার উৎস, গুণাগুণ ও সুনাম ধারণ ও প্রচার করে।
জিআই পণ্যের মালিকানা বিশ্ববাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর সঙ্গে পণ্যের রপ্তানি সক্ষমতা জড়িত। যাদের জিআই পণ্য যত বেশি, তাদের রপ্তানি সক্ষমতা তত বেশি।
সেই আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১ জুন গেজেট প্রকাশের পর এ বিষয়ে কারো কোনো আপত্তি না থাকায় ইলিশের নিবন্ধন নিশ্চিত হয়।
গেল বছর বাংলাদেশের প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায় জামদানি শাড়ি।
শিল্প সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইলিশ ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় মাছটি দেশীয় ব্র্যান্ড হিসেবে বিদেশে যাবে। এতে ক্রেতারা সঠিক পণ্য শনাক্ত করতে পারবে। দেশের অর্থনীতিতেও বিষয়টি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।”
বিশ্বে প্রতি বছর যে পরিমাণ ইলিশ আহরিত হয়, তার ৭৫ শতাংশের যোগান দেয় বাংলাদেশ। ১৫ শতাংশ মিয়ানমার, ৫ শতাংশ ভারত ও ৫ শতাংশ অন্যান্য দেশ থেকে আসে।
আর দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনে ইলিশ মাছের অবদান প্রায় ১০ শতাংশ। বাংলাদেশ বছরে পৌনে চার লাখ মেট্রিক টনের মত ইলিশ আহরণ করে, যার বাজার মূল্য ১৫ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা।