বেসরকারিকরণ কমিশন ও বিনিয়োগ বোর্ডকে একীভূত করে এই বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করেছে সরকার।
কাজী আমিন এর আগে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সচিব ও বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক বিকল্প নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
নিয়োগের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের অফুরন্ত সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সম্ভাবনা কীভাবে কাজে লাগানো যায়, তা এখন নির্ভর করছে আমাদের ওপর।
“বাংলাদেশের প্রকৃত পরিস্থিতি তুলে ধরতে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে; কাজ করতে হবে একসঙ্গে।”
এতোদিন মন্ত্রীর মর্যাদায় বিনিয়োগ বোর্ডের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন ড. এসএ সামাদ। আর বেসরকারিকরণ কমিশনের নেতৃত্বে ছিলেন মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান, যিনি প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা ভোগ করছিলেন।
বেসরকারিকরণ কমিশনের সাবেক প্রধানদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা কাজী জাফরুল্লাহ ও মির্জা জলিলও মন্ত্রীর মর্যাদা ভোগ করেছেন।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন কার্যকর হচ্ছে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে। আর কাজী মো. আমিনুল ইসলাম আগামী তিন বছরের জন্য এ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন বলে রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক আদেশে জানিয়েছে।
বিনিয়োগ বোর্ড ও বেসরকারিকরণ কমিশনকে একীভূত করতে গত বছরের ২১ অগাস্ট মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, যা গত ২৫ জুলাই জাতীয় সংসদে পাস হয়।