বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ১ সেপ্টেম্বর কার্যকর

বেসরকারিকরণ কমিশন ও বিনিয়োগ বোর্ড একীভূত করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠনের আইন আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হচ্ছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 August 2016, 12:24 PM
Updated : 28 August 2016, 12:24 PM

এই আইন কার্যকরের তারিখ ঘোষণা করে গত শনিবার গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার।

বিনিয়োগ বোর্ড ও বেসরকারিকরণ কমিশনকে একীভূত করতে গত বছরের ২১ অগাস্ট বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। গত ২৫ জুলাই আইনটি জাতীয় সংসদে পাস হয়।

এই আইন কার্যকর হওয়ার পর বিনিয়োগ বোর্ড ও বেসরকারিকরণ কমিশন বিলুপ্ত হলেও সেখানে কর্মরতরা নতুন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে বিবেচিত হবেন বলে আগেই জানিয়েছে সরকার।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের একটি গভর্নিং বোর্ড থাকবে, যার প্রধান হবেন প্রধানমন্ত্রী এবং ভাইস-চেয়ারম্যান হবেন অর্থমন্ত্রী। ১৭ সদস্যের এই বোর্ডে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রীসহ অন‌্য মন্ত্রীরাও থাকবেন।

মন্ত্রিসভায় আইনটি অনুমোদনের পর তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছিলেন, প্রস্তাবিত এই কর্তৃপক্ষের কাজ হবে বেসরকারি খাতে স্থাপিত সব শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বিদেশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সংযোগকারী শাখা ও প্রতিনিধি কার্যালয় নিবন্ধন করা।

তবে বেপজা, ইপিজেড, অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, ইকোনমিক জোন, বেসরকারি ইপিজেড, বিসিক শিল্পনগরী, হাইটেক পার্ক অথরিটির বিনিয়োগ এবং সরকারি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিনিয়োগ এই কর্তৃপক্ষের আওতায় আসবে না বলে জানান তিনি।

বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৮৯ সালের বিনিয়োগ বোর্ড আইনের মাধ্যমে বিনিয়োগ বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের নির্দেশনা অনুযায়ী বিনিয়োগ বোর্ড পরিচালিত হয়। বর্তমানে বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রয়েছেন নির্বাহী চেয়ারম্যান। এখানে ২৯৩ জনের জনবল রয়েছে।

আর ১৯৯৩ সালে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘প্রাইভেটাইজেশন বোর্ড’ কাজ শুরু করে, যা ২০০০ সালে আইনের মাধ্যমে বিলুপ্ত হয়ে ‘প্রাইভেটাইজেশন কমিশনে’ রূপান্তরিত হয়। ৭০ জন জনবলের এই কমিশনে একজন চেয়ারম্যান রয়েছেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছিলন, প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের কাজ ছিল সরকারি মালিকাধীন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিহ্নিত করে বিক্রি করা।

“কিন্তু অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, এই কাজটি খুব অগ্রসর হয়নি। ২০০০ সাল থেকে ১৫ বছরে এর কার্যকক্রম প্রত্যাশিত মাত্রায় আমরা দেখতে পাচ্ছি না।”

১৯৯৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ৫৮টি প্রতিষ্ঠান বেসরকারিকরণ হয়েছে। ২৩টি প্রতিষ্ঠানের সরকারি শেয়ার অফলোড করা হয়েছে। গত চার বছরে মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান বেসরকারিকরণ ও একটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার অফলোড করা হয়েছে।

“সরকার অনুভব করছে, রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন বন্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যেগুলোকে লাভজনকভাবে চালানো সম্ভব সেগুলো চালু হবে। যেগুলো চালানো সম্ভব নয় হয়ত জমি আছে স্থাপনা নয়, সেগুলো অধিকতর লাভবান কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হবে,” জানিয়েছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব।