সীমান্ত হাটে গরুও চায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হাটে পণ্যের তালিকায় গরুও অন্তর্ভুক্ত করতে চায় ঢাকা।

শেখ আবদুল্লাহবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 August 2015, 10:55 AM
Updated : 16 August 2015, 10:56 AM

এজন্য বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করবে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনোজ কুমার রায়।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত হাট (বর্ডার হাট) বিষয়ক সমঝোতা স্মারক নবায়ন সংক্রান্ত বৈঠকে এ প্রস্তাব দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

এই প্রস্তাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক সম্মতি দিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়া এখনও বাকি।

বাংলাদেশের গরুর চাহিদার একটি বড় অংশ প্রতিবেশী দেশটির মাধ্যমে পূরণ হলেও বৈধভাবে ভারত থেকে গরু আসে না।

গত বছর বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতে ক্ষমতায় বসার পর গরু চোরাচালান বন্ধে কঠোর উদ্যোগ নিলে বাংলাদেশে সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।

সীমান্তে গুলির ঘটনা কমাতে ভারত থেকে গরু বৈধভাবে রপ্তানির পক্ষে দেশটির সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তারাও ইতোপূর্বে মত জানিয়েছেন।

বাংলাদেশে চাহিদার অনেকটার জোগান দেয় ভারতীয় গরু

মনোজ রায় বলেন, “বিজিবির পক্ষ থেকে প্রস্তাবটি এসেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। দুই দেশের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকেও জোরালো দাবি আছে।”

“যেহেতু ভারতে বিষয়টি স্পর্শকাতর, সেজন্য আমরা বিষয়টি নিয়ে প্রথমেই আনুষ্ঠানিক আলোচনায় যাচ্ছি না। অনানুষ্ঠানিকভাবে উভয়পক্ষ সম্মত হলেই এটা নিয়ে এগোব,” বলেন তিনি।

রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার সীমান্ত হাটে ছিলেন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বিষয়ক দায়িত্বে থাকা এই কর্মকর্তা।

“আমি এখন বর্ডার হাটে আছি। এখানেও অনেকে এই দাবি (পণ্য হিসেবে গরু অন্তর্ভুক্ত) জানিয়েছেন।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেদায়েত উল্লাহ আল মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি এখনও একেবারেই আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। এজন্য এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।”

সীমান্ত হাট (ফাইল ছবি)

বর্তমানে সীমান্ত হাটগুলোতে প্লাস্টিক, মেলামাইন, তরিতরকারি, শাড়িসহ স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি হচ্ছে। আগামীতে শিক্ষা উপকরণ, জুতা-স্যান্ডেল বিক্রির প্রস্তাব করছে বাংলাদেশ।

২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় সীমান্তের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসরত জনগণের উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণের সুবিধায় সীমান্ত হাট চালুর সিদ্ধান্ত হয়।

প্রথমে দুটি হাট স্থাপনের কথা থাকলেও দুই দেশের জনগণের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে তিনটি হাট চালু হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, সুনামগঞ্জের লাউয়াগড় ও ফেনীর ছাগলনাইয়াতে এ তিনটি হাট রয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়ানোর উদ্যোগ চলছে।

সীমান্ত হাটে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ১০০ ডলারের সমপরিমাণ মূল্যের পণ্য কিনতে পারতেন। এই অঙ্ক ২০০ ডলার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।