মিয়ানমারের রাখাইনে জাতিগত দমন-পীড়নের মধ্যে বাংলাদেশের পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য ইরান, ভারত ও ইন্দোনেশিয়া থেকে পাঠানো প্রায় ১১১ টন ত্রাণসামগ্রী চট্টগ্রামে পৌঁছেছে।
Published : 15 Sep 2017, 10:31 PM
শুক্রবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে ইরান এয়ারের একটি কার্গো ফ্লাইট ৪০ টন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামে।
এসব ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে মধ্যে কম্বল, তাবু, মেট্রেস, চা ও ওষুধ রয়েছে ইরানের বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা (গণমাধ্যম ও গণসংযোগ) খোন্দকার মো. মাহফুজুল হক জানিয়েছেন।
বাংলাদেশের পক্ষে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী ত্রাণসামগ্রী গ্রহণ করেন; সেসময় উপস্থিত ছিলেন সাংসদ মঈনুদ্দিন খান বাদল।
ইরানের পক্ষে ত্রাণ হস্তান্তরের সময় দেশটির উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে নারী সংসদ সদস্য চেনা রাণী ও বাংলাদেশে ইরানের রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস বারাজী উপস্থিত।
“মিয়ানমারে যা হচ্ছে তা অমানবিক, নিষ্ঠুর এ হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা উচিত। অতীতেও আমরা নির্যাতিত মানুষের পাশে ছিলাম, এখনও আছি, ভবিষ্যতেও থাকব।”
দূতাবাস কর্মকর্তা মাহফুজুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ইরানের প্রতিনিধি দলটি শনিবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরিস্থিতি দেখতে যাবে।
আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে ৫০ টন ত্রাণ নিয়ে আরেকটি ফ্লাইট ইরান থেকে এসে পৌঁছাবে বলে জানান তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার দুটি ফ্লাইটে প্রায় ২০ টন ত্রাণ নিয়ে আসে।
শুক্রবার তাদের দ্বিতীয় দফার ত্রাণ সামগ্রী গ্রহণ করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. হাবিবুর রহমান।
হাবিবুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কম্বল, চিনি, কাপড়, পানির ট্যাঙ্ক ও ফ্যামিলি কিটস আছে এই ত্রাণের মধ্যে।
এ সময় ইন্দোনেশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শুক্রবার সকালে ভারতের পক্ষ থেকে পাঠানো ৫৪ টন ত্রাণবাহী একটি ফ্লাইট চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।
বৃহস্পতিবার ভারত, মরক্কো ও ইন্দোনেশিয়া থেকে মোট ৮৭ টন বিভিন্ন ধরণের ত্রাণসামগ্রী আসে।
৯ সেপ্টেম্বর ১২ টন ত্রাণ নিয়ে প্রথম চট্টগ্রামে পৌঁছায় মালয়েশিয়ার একটি ফ্লাইট।
ভারতের পক্ষ থেকে মোট সাত হাজার টন ত্রাণ দেওয়া হবে বলে বৃহস্পতিবার জানান বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।