বুধবার চট্টগ্রামের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরে আলম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত জুয়েল ওরফে সেলিম ঝালকাঠি জেলার নলছিটি এলাকার আবদুর রউফের ছেলে।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি লোকমান হোসেন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ডাকাতির সময় গুলিতে গৃহকর্তার ছেলে নিহতের ঘটনায় করা মামলাটি প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ মামলার অন্য তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- ফয়েজ উল্লাহ, জাহাঙ্গীর ও নূর হোসেন।
আসামিদের মধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত জুয়েল এবং খালাস পাওয়া ফয়েজ উল্লাহ ও জাহাঙ্গীর কারাগারে আছেন। নূর হোসেন শুরু থেকেই পলাতক।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ১৭ জানুয়ারি রাত ৩টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার খন্দকিয়া এলাকায় হাবিব সওদাগরের বাড়িতে হানা দেয় একদল ডাকাত।
এসময় হাবিব সওদাগর ও তার ছেলে আবদুল মান্নান এক ডাকাতকে ঝাপটে ধরেন। সেসময় ডাকাতরা গুলি ছুড়লে আবদুল মান্নান ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এক পযৃায়ে স্থানীয়রা হাবিব সওদাগরের বাড়ির চারপাশ ফেললে ডাকাতরা পালানোর জন্য আবার গুলি করে। এসময় আরও দুইজন আহত হন।
পালানোর সময় জুয়েলকে স্থানীয়রা ধরে ফেলে।
এ ঘটনায় পরদিন হাবিব সওদাগর দণ্ডবিধির ৩৯৬ ও ৩৪ ধারায় চারজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
১৯৯৭ সালের ১৬ জুলাই এ মামলায় চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ওই বছরের ২৭ নভেম্বর আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।