সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের জেএম সেন হল প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে উৎসব শুরু হবে বলে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ।
হিন্দু ধর্মালম্বী সাধু-সন্ন্যাসী ও ধর্মীয় গুরুরা মাঙ্গলিক এ শোভাযাত্রার উদ্বোধন করবেন বলে আয়োজকরা জানান।
শোভাযাত্রা ছাড়াও মহানাম সংকীর্তন, ধর্মীয় আলোচনা সভা, বস্ত্র বিতরণ, রক্তদান, লীলা প্রদর্শনী, রক্তদান এবং মহাপ্রসাদ বিতরণসহ নানা কর্মসূচি রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও রাউজান পৌরসভার মেয়র দেবাশীষ পালিত লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান।
তিনি বলেন, প্রথম দিন সকালে শোভাযাত্রার পর দুপুরে জেএম সেন হল প্রাঙ্গণে মাতৃ সম্মেলন এবং বিকালে সনাতন ধর্ম মহাসম্মেলন হবে। বিকালে হবে আলোচনা সভা।
তাতে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলু, সাবেক রাষ্ট্রদূত নুরুল আলম চৌধুরী, সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমদ এবং সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
প্রথম দিন রাতে মহানাম সংকীর্তন শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত চলবে বলে সংবাদ সম্মেলনে দেবাশীষ পালিত জানান।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন এবং হিন্দুদের মঠ-মন্দির, ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট ও ভাংচুরের সঙ্গে জড়িতদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবি জানান তিনি।
উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী চন্দন তালুকদার সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।