এরা হলেন- মো. কামরুল হাসান (২৮) ও মো. সালাউদ্দিন (৩০)।
মঙ্গলবার ভোরে বায়েজিদ বোস্তামী থানার বালুছড়া টাইগার রোড থেকে ও হাটহাজারী উপজেলার আমান বাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান, জাফর সাদেক নামে এক যুবককে সুজাউদ্দিন কবির নামে তার এক বন্ধু গত রোববার রাতে ইয়াবা খাওয়ানোর জন্য বালুছড়া টাইগার রোডে কামরুলের বাসায় নিয়ে যায়।
“সেখানে জাফরকে আটকে মারধর করে টাকা আদায় করে এবং তার ব্যবহার মোটর সাইকেল রেখে দিয়ে তিনটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে সোমবার বিকালে ছেড়ে দেয়।”
ছাড়া পেয়ে জাফর সাদেক বায়েজিদ বোস্তামী থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে টাইগার রোডের বাসা থেকে কামরুলকে গ্রেপ্তার করে তিনটি স্বাক্ষর করা খালি স্ট্যাম্প উদ্ধার করে।
পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হাটহাজারী আমান বাজারে সালাউদ্দিনের বাসা থেকে মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওসি।
জাফর সাদেকের লিখিত অভিযোগের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকতা মহসিন বলেন, গত রোববার রাতে সুজাউদ্দিন দাওয়াত দিয়ে কামরুলের বাসায় নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে তাকে আটকে রেখে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে তারা।
টাকা দিতে অস্বীকার করায় মারধর করে হত্যার চেষ্টা করলে তার আরেক বন্ধুর মাধ্যমে বিকাশে ১৪ হাজার টাকা তাদের পরিশোধ করেন। তারা আরও টাকা দাবি করলে রোমান নামে আরেক বন্ধুকে দুই লাখ টাকা নিয়ে অক্সিজেন মোড়ে আসতে বলেন জাফর।
সেখানে সুজাউদ্দিন গিয়ে পুলিশ দেখে বাসায় ফিরে এলে ১০০ টাকার তিনটি খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে তার ব্যবহার করা মোটর সাইকেল রেখে দেন।
জাফর সাদেক পুলিশকে আরও জানায়, সোমবার বিকালে তাকে চোখ বেঁধে বোরকা পড়িয়ে আমান বাজার এলাকায় নির্জন একটি স্থানে নিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেন।
ওসি মহসিন বলেন, জাফর সাদেক ওমানে ফার্নিচারের ব্যবসা করেন। আর সুজাউদ্দিন চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী বলে জানিয়েছেন। তবে তারা সবাই ইয়াবা সেবন করতে কামরুলের বাসায় গিয়েছিল।
যে বাসা থেকে কামরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটি তার চাচার বাসা। বাসায় কেউ না থাকায় সেখানে তারা ইয়াবা সেবন করেন।
আর সালাউদ্দিনের বাসা থেকে মোটর সাইকেলটি পাওয়া যাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা মহসিন বলেন, সুজাউদ্দিনকে গ্রেপ্তারে অভিযানও চলছে।