বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে গিয়ে এই চিত্র দেখা যায়। ঈদের আগে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে অনেকেই বাড়ির পথে রওনা হন বলে স্টেশনে ছিল বেশ ভিড়।
নিষেধ সত্বেও কেন ঝুঁকি নিলেন- জানতে চাইলে চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেসের যাত্রী মো. ফোরকান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইচ্ছে করে তো আর ঝুঁকি নেই না। বাড়ি ফিরতে হবে যে কোনো ভাবেই। অনুরোধ শুনলে তো বাড়ি ফিরতে পারব না।”
তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে নগরীর ইপিজেড এলাকার একটি প্র্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাকর্মী মো. আশরাফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “টিকেট পাইনি। এখন ১৭০ টাকা দিয়ে স্ট্যান্ডিং টিকেট নিয়েছি। ভেতরে জায়গা নেই, ছাদে না উঠলে বাড়ি যাব কীভাবে?”
রেল স্টেশনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে যাওয়া ১২ স্কাউটের একজন নগরীর পাহাড়তলী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মেহরাব হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা জনগণকে সচেতন করতে কাজ করে যাচ্ছি। ট্রেনে উঠতে যাত্রীরা যাতে তাড়াহুড়া না করে, সেজন্য অনুরোধ করছি।”
এভাবে পুরুষ যাত্রীরা ট্রেনের ছাদে উঠতে পারলেও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে নারী যাত্রীদের।
ভোগান্তির পরও ট্রেনে জায়গা পাওয়ায় খুশি গার্মেন্টকর্মী সানজিদা আক্তার।
চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার নাজমুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঢাকা, চাঁদপুর, সিলেট, ময়মনসিংহের পথে প্রতিদিন ১৪ হাজার থেকে ১৫ হাজার যাত্রী পরিবহন করছে পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ে।
তিনি ট্রেনের সময়সূচিতে কোনো ‘সমস্যা নেই’ বললেও বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস এক ঘণ্টা দেড়িতে ছাড়ে।
ঈদ উপলক্ষে চাঁদপুরের পথে দুটি স্পেশাল ট্রেনও দেওয়া হয়েছে বলে জানান স্টেশন মাস্টার নাজমুল।