বন্দরের বে টার্মিনাল নির্মাণ শুরু হবে আগামী বছর

এডিবির অর্থায়নে চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনালের প্রথম পর্যায়ের নির্মাণ কাজ আগামী বছরের শেষ দিকে শুরু হবে।

চট্টগ্রাম ব‌্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Feb 2017, 03:30 PM
Updated : 23 Feb 2017, 03:30 PM

বৃহস্পতিবার মেরিন ওয়ার্কশপ এক নম্বর জেটি গেইটে এক অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের জিজ্ঞাসায় বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল এতথ‌্য জানান।

বন্দর চেয়ারম‌্যান বলেন, বে টার্মিনালের সম্ভাব‌্যতা যাচাইয়ের প্রতিবেদন আগামী মে মাসে তারা হাতে পাবেন। এরপর নকশা প্রণয়নের দিকে যাবেন।

কোনো মিথ্যা আশ্বাস দেওয়ার পক্ষপাতি নন জানিয়ে তিনি বলেন, “যেটা সত্য, সেটাই আমি বলছি। একটি টার্মিনাল নির্মাণ অনেক সময়ের ব্যাপার।”

“ডিটেইল ডিজাইন করতে লাগবে ছয় মাস। আমরা এক্সাক্টলি হিসেব করেছি। হিসেব করে আমরা দেখেছি বে টার্মিনালের প্রথম পর্যায়ের কাজ আমরা আগামী বছরের লাস্ট কোয়ার্টারে শুরু করতে পারব।”

বে টার্মিনাল নির্মাণের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করতে এডিবি ২০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বলে জানান এডমিরাল খালেদ।

তিনি বলেন, বে টার্মিনালের জন্য ড্রেজিং, আইল্যান্ড নির্মাণ ও ব্রেক ওয়াটার (স্রোতের আঘাত সহনশীল অবকাঠামো) নির্মাণে এ অর্থ ব্যয় করা হবে।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, “বে টার্মিনাল নিয়ে অনেক ধরনের ধূম্রজাল আছে, ধোঁয়াশা আছে। চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানের বক্তব্যে সেটা স্পষ্ট হয়েছে।”

পতেঙ্গা ও লালদিয়ায় টার্মিনাল নির্মাণের কাজও গতি পাচ্ছে বলে অনুষ্ঠানে জানান বন্দর চেয়ারম‌্যান।

“আমরা ২০১৯ সালের প্রথম কোয়ার্টারে শেষ করতে চাই পতেঙ্গা টার্মিনাল নির্মাণের কাজ। এটার ডিপিডি অলরেডি রেডি। দুই একদিনের মধ্যে আমরা এটা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব। লালদিয়ার টার্মিনালের কনট্রাক্টও আমরা আগামী বছরের জানুয়ারিতে অ্যাওয়ার্ড করতে পারব।”

কর্ণফুলি খননের বিষয়ে ‘ভালো সংবাদ’ শোনান তিনি।

“ড্রেজিংয়ের ডিপিপিও মন্ত্রণালয়ে চলে গেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক ছাড়পত্রের অপেক্ষায় আছে প্রকল্পটি। সদরঘাট থেকে বাকলিয়া পর্যন্ত নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য ড্রেজিং করব। আগামী দুই মাসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেয়ে গেলে আগামী ছয় থেকে সাত মাসের মধ্যে তিনটি পর্যায়ে ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ করতে পারব।”

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মেয়র নাছির বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে প্রত্যাশিত সক্ষমতায় উন্নীত করতে না পারলে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

সে কারণে অগ্রাধিকার দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিকল্পিত উন্নয়নকে নিশ্চিত করার আহবান জানান তিনি।

বন্দরসহ চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়ভার নিজ হাতে নেওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

এপ্রসঙ্গে নাছির বলেন, চট্টগ্রাম বিমাতাসুলভ আচরণের স্বীকার হচ্ছে বলে যে ধারণা এই নগরীর বাসিন্দাদের রয়েছে, তা ঠিক বলে মনে করেন না তিনি।

“কিন্তু এ ধারণাটা আছে। যেহেতু ধারণাটা আছে আমাদের সেটা কাটিয়ে তুলতে হবে কাজের মাধ্যমে। সবক্ষেত্রে এ ধারণার বিপক্ষে পরিকল্পনা দিয়ে অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। পোর্ট চেয়ারম্যান পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। আমাদের দিক থেকে যতটা সম্ভব আমরা সহযোগিতা করব।”