লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের একাংশের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

বর্ধিত বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের একাংশের ডাকা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Feb 2017, 09:41 AM
Updated : 14 Feb 2017, 09:41 AM

মঙ্গলবার রাজধানীতে শ্রম পরিচালকের দপ্তরে লাইটার জাহাজ মালিক প্রতিনিধি ও শ্রমিক নেতাদের মধ্যে এক বৈঠক শেষে টানা চারদিন ধরে চলা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের এই ঘোষণা এল।

বৈঠক শেষে বেলা পৌনে ৩টার দিকে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের কথা জানান লাইটার জাহাজ শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাহাদাত হোসেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বৈঠকে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বর্ধিত বেতন-ভাতার বকেয়া অংশ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুরোপুরি পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছেন। এজন্য কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বর্ধিত হারে বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের একাংশ শনিবার সকাল থেকে এই কর্মবিরতি শুরু করে। চার দিন চলা চলা কর্মবিরতিতে কার্যত অচল হয়ে পড়ে পণ্য খালাস ব্যবস্থা।

সরকারের নতুন গেজেট অনুসারে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে বর্ধিত বেতন-ভাতা দেওয়ার কথা থাকলেও সব জাহাজ মালিক তা না দেওয়ায় কর্মবিরতিতে যায় শ্রমিকরা।

কর্মবিরতি প্রত্যাহারের জন্য এর আগে সোমবার নৌমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হলেও সেখানে মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা সময় চাওয়ায় কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা ছাড়াই শেষ হয় ওই বৈঠক।

চট্টগ্রাম থেকে সারাদেশে চলাচলকারী প্রায় দেড় হাজার লাইটার জাহাজ রয়েছে। এসব জাহাজের মালিক প্রায় ৮০০ জন। এগুলোসহ সারাদেশের সব নৌরুট মিলিয়ে প্রায় ছয় হাজার লাইটার জাহাজ চলাচল করে।

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে থাকা মাদার ভেসেল (বড় আকারের জাহাজ), কর্ণফুলী নদীর ১৬টি ঘাট এবং বিভিন্ন জেটি থেকে লাইটার জাহাজে করে পণ্য পরিবহন করা হয়।

লাইটার জাহাজ মালিকদের পাঁচটি সংগঠন রয়েছে। এর মধ্যে দুটি ট্যাংকার, একটি কোস্টার, একটি কার্গো এবং একটি খুলনা এলাকার লাইটার মালিকদের সংগঠন।

মঙ্গলবারের বৈঠকে খুলনার মালিক সমিতি ছাড়া অন্য চার সংগঠনের প্রতিনিধিদের থাকার কথা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন লাইটার মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ কার্গো ভেসেলস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি খুরশীদ আলম।