শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত টানা অভিযান চালিয়ে নগরীর রহমান নগর ও মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে দুই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়ালী উদ্দিন আকবর জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মিন্টু তালুকদার (৫০), দুলাল শীল (৫৯) তার স্ত্রী সুমি শীল (৪৫), রতন দাশ ওরফে মানিক (৫৫) ও তার স্ত্রী বেবী দাশ (৩৭)।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে পুলিশ কর্মকর্তা ওয়ালী জানান, উদ্ধার হওয়া দুই তরুণীর একজন গত ১২ ডিসেম্বর চাকরির খোঁজে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থেকে চট্টগ্রাম আসেন।
“কিছু চিনতে না পেরে ষোলশহর এলাকায় হাঁটাহাঁটি করার সময় দুলাল শীলের সাথে তার দেখা হয় এবং দুলাল তাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে নিজের বাসায় নিয়ে যায়।”
উদ্ধার হওয়া তরুণীর বরাত দিয়ে পরিদর্শক ওয়ালী বলেন, “বাসায় কিছুদিন রাখার পর গত ১০ ডিসেম্বর দুলাল ওই তরুণীকে মোহাম্মদপুর এলাকার চৌধুরী টাওয়ারে মানিক দাশের বাসায় নিয়ে যায়। সে বাসায় উদ্ধার হওয়া অপর তরুণীকেও সে দেখতে পায়।
“উদ্ধার হওয়া তরুণীরা জানিয়েছে ওই বাসায় তাদের একটি রুমে আটকে রেখে জোরপূর্বক যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হয় এবং অশ্লীল ছবি তুলে পরিবারের সদস্যদের ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।”
গত ১৭ জানুয়ারি ওই তরুণীকে মোহাম্মদপুরের রতনের বাসা থেকে রহমান নগরের মিন্টুর বাসায় নিয়ে আটকে রাখা হয় বলে ওই তরুণীর বরাত দিয়ে জানান তিনি।
পরিদর্শক ওয়ালী বলেন, “ওই তরুণীর বাবা চট্টগ্রাম এসে মেয়ের সন্ধানে পাঁচলাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এর তদন্ত করতে গিয়ে শুক্রবার ভোরে রহমান নগরে মিন্টুকে গ্রেপ্তার করে তার বাসা থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়।”
পরে মিন্টুর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বহদ্দারহাট ও মোহাম্মদপুর থেকে দুলাল, রতন ও তাদের স্ত্রীদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং রতনের বাসা থেকে অপর তরুণীকে উদ্ধার করা হয় বলে জানান ওয়ালী।