খুন করে থানায় হাজির হয়ে শ্যালকের স্বীকারোক্তির পর চট্টগ্রামের টেরিবাজারের একটি বাসা থেকে ভগ্নিপতির বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
Published : 17 Oct 2016, 02:18 PM
কোতোয়ালি থানার এসআই সুমিত দাশ জানান, সোমবার সকালে বাবলু ধর (২১) নামের ওই যুবক থানায় এসে ভগ্নিপতি অঞ্জন ধরকে (৩৫) খুন করার কথা জানান।
পরে পুলিশ বাবলুকে নিয়ে আফিনী গলির পূজার মাঠের পাশে একটি ভবনের ওই বাসা থেকে অঞ্জনের লাশ উদ্ধার করে।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মোস্তাইন হোসাইন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বোনের সঙ্গে দাম্পত্য কলহের কারণে বাবলু তার ভগ্নিপতিকে খুন করেছেন বলে জানিয়েছেন।”
অঞ্জনের সাত বছর বয়সী একটি মেয়ে ও তিন বছর বয়সী একটি ছেলে আছে বলে জানান তিনি।
“বাবলু পুলিশকে জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময়ে অঞ্জন তার বোনকে নির্যাতন করতেন। ক্ষোভের কারণে রোববার সকালে তার বোন দুই সন্তানকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার পর অঞ্জনকে খুন করে তিনি বাসায় তালা দিয়ে চলে যান।”
এসআই সুমিত বলেন, “বাবলু জানিয়েছেন, হত্যার পর তিনি বোনকে ফোনে জানান অঞ্জন ব্যক্তিগত কাজে মানিকছড়ি গেছেন। তিনি যেন বাবার বাসায় চলে যায়। রাতে বাসায় ফিরে অঞ্জনের স্ত্রী দরজায় তালা দেখে চলে যান।
“বাসায় তালা লাগিয়ে বাবলু চাবিটি নিজের কাছে রেখে দেন। সকালে পুলিশের সঙ্গে গিয়ে তিনি নিজেই তালা খুলে দেন।”
সকালে ওই বাসায় গিয়ে দেখা যায়, দুই কক্ষের বাসাটির শোবার ঘরে অঞ্জনকে খুন করে লাশ বস্তায় ভরে রাখা হয়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছেন।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূর আহম্মদ জানান, অঞ্জনের গলায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি এবং একটি কেরোসিন ভর্তি কনটেইনার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভবনের মালিক পরিমল দত্ত জানান, হাজারি গলির স্বর্ণকার অঞ্জন দুই বছর আগে তার পাঁচতলা ভবনের উপরের তলার ফ্ল্যাট ভাড়া নেন।
বাসায় স্ত্রী, দুই সন্তান, মা ও শ্যালককে নিয়ে থাকতেন অঞ্জন। পূজার সময় অঞ্জনের মা বাড়ি গেছেন। বাবলু ভগ্নিপতির দোকানে কাজ শিখতেন।