দণ্ডপ্রাপ্ত হুমায়ুন কবির (৪২) নগরীর দামপাড়া ওয়াসা এলাকার বাসিন্দা।
‘জাতীয় কন্যা শিশু দিবস-২০১৬’ উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শিশু একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠান চলাকালে হুমায়ুন চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া এক কন্যা শিশুকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মো. দৌলতুজ্জামান খাঁন এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির রহমান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সামাদ শিকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শিশু দিবসের অনুষ্ঠান চলছিল। এরপর শিশুদের নাচ পরিবেশনের সূচি নির্ধারিত ছিল।
“১১ বছর বয়সী চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া এক শিশু নাচের জন্য প্রস্তুত হয়ে অপেক্ষমান ছিল। এসময় মঞ্চের অদূরে হুমায়ুন কবির শিশুটিকে লাঞ্চিত করেন।”
এ ঘটনার পরই অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা হুমায়ুন কবিরকে আটক করে। এরপর অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসি এবং আবিদা আজাদ ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাক্ষ্য দেন।
আদালত দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৫০৯ ধারা অনুসারে হুমায়ুন কবিরকে আট মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে কারাগারে পাঠায়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সামাদ শিকদার বলেন, হুমায়ুন কবির একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন বলে দাবি করলেও পদবি ও কর্মস্থল বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি।
“তার সাত বছর বয়সী শিশুকে শিশু একাডেমিতে ভর্তি করানোর বিষয়ে তথ্য জানতে এসেছিল বলে দাবি করেছেন। তবে শুক্রবার সন্ধ্যায় শিশু একাডেমির দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে। তাই তার এ দাবি মিথ্যা বলে প্রতীয়মান হয়েছে।”