হাটহাজারীর ওসিসহ ৩ পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার ওসিসহ তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে ঘুষ নেওয়া ও ক্ষমতা অপব্যহারের অভিযোগ করেছেন এক ব্যক্তি।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Sept 2016, 04:03 PM
Updated : 28 Sept 2016, 07:03 AM

চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ সিরাজুদ্দৌলা কুতুবীর আদালতে মঙ্গলবার এ অভিযোগ দায়ের করেন হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম শিকারপুর এলাকার বাসিন্দা সজল আচার্য্য।

এতে হাটাহাজারী থানার ওসি বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর, এসআই মো. খায়রুজ্জামান এবং এসআই আবু বক্কর সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।

প্রতিবেশীর সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধের একটি মামলায় আদালত থেকে রায় পেয়ে একটি পুরনো বাড়ি সংস্কার করতে গেলে এই তিন পুলিশ সদস্য তাতে বাধা দিয়ে সজল আচার্য্যের কাছ থেকে জোরপূর্বক ঘুষ আদায় করে বলে আদালতে অভিযোগ করা হয়।

সজলের আইনজীবী মানস দাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রতিবেশী মিলন আচার্য্যের সাথে বাদী সজল আচার্য্যের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল।

“এ নিয়ে কিছুদিন আগে একটি মামলা করেন সজল। আদালত তার পক্ষে রায় দেন। এরপর তার শতবর্ষী বসতবাড়ি মেরামতের উদ্যোগ নেন সজল। এসময় আদালতের আদেশ অমান্য করে, দুই এসআই গিয়ে তাকে বাড়ি সংস্কারে বাধা দেয়।”

১০ সেপ্টেম্বর ওই ঘটনা ঘটে জানিয়ে আইনজীবী মানস দাস বলেন, ওইদিন এসআই খায়রুজ্জামান ও আবু বক্কর সিদ্দিকী অভিযোগকারী সজল আচার্য্যের কাছে গিয়ে তার বাড়ি সংস্কার করতে হলে ওসিকে এক লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানায়।

“এ কথা বলার পর সজল থানায় গিয়ে ওসি’র সাথে দেখা করেন। এক লাখ টাকা দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে, ওসি জানতে চান- সজল টাকা সাথে করে এনেছে কি না।”

আইনজীবী মানস অভিযোগ করেন, টাকা নিয়ে আসেনি জানানোর পর ওসি সজলকে থানায় আটকে রাখতে বলেন এবং সজলের বিরুদ্ধে যে কোনো মামলা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

“এরপর আত্মীয়রা থানায় গিয়ে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে সজলকে ছাড়িয়ে আনেন।”

দুর্নীতি দমন কমিশনের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা অনুসারে ক্ষমতা অপব্যবহার এবং দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ করা হয়েছে।

“আদালত আগামী ১৭ অক্টোবর অভিযোগের গ্রহণযোগ্যতার শুনানির সময় নির্ধারণ করেছে।”