রোববার বিকালে চট্টগ্রামের মুসলিম হলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “১০ অক্টোবর চীনের প্রেসিডেন্ট তিন দিনের সফরে বাংলাদেশ আসবেন।
“চীনের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌথভাবে টানেলের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।”
কাদের বলেন, “অনেকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে টানেল হবে না মনে করেছিল, কিন্তু টানেল হচ্ছে।”
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার ১২তম বার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ নির্মাণ করে কর্ণফুলী নদীর দুই তীরকে যুক্ত করতে চীনের সঙ্গে গতবছর চুক্তি করে সরকার।
নয় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর তলদেশে এই ‘টানেল’ নির্মাণের কাজ পেয়েছে চায়না কমিউনিকেশন্স কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (সিসিসিসি)।
এ টানেল নির্মাণের জন্য ২০১৪ সালের ১০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বেইজিংয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।
চীন ও হংকংয়ের দুটি প্রতিষ্ঠান প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে টানেলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করে।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই টানেলের অ্যালাইনমেন্ট হবে এয়ারপোর্ট থেকে কর্ণফুলী নদীর দুই কিলোমিটার ভাটির দিকে। টানেলের প্রবেশপথ হবে নেভি কলেজের কাছে এবং বহির্গমন পথ হবে সার কারখানার কাছে।
টানেল নির্মাণ করা হবে ‘শিল্ড ড্রাইভেন মেথড’ পদ্ধতিতে। মোট দৈর্ঘ্য হবে তিন হাজার ৪০০ মিটার। এছাড়া টানেলের পশ্চিম প্রান্তের অ্যাপ্রোচ রোডের দৈর্ঘ্য হবে ৭৪০ মিটার, পূর্বে চার হাজার ৯৫২ মিটার।