চট্টগ্রামে তেলের সঙ্গে মিশিয়ে তরল কোকেন আনার ঘটনায় গ্রেপ্তার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদের পক্ষে করা জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আদালত।
Published : 22 Feb 2016, 07:50 PM
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নূর সোমবার জামিন আবেদনের শুনানি শেষে তা নাকচ করেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রশিকিউশন) কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নুর মোহাম্মদের পক্ষে তার আইনজীবী জামিনের একটি আবেদন করেছিলেন।
“এ বিষয়ে শুনানিতে মহানগর পিপি জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত নুর মোহাম্মদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।”
এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফায় নুর মোহাম্মদকে দুই দিনের রিমান্ডে পায় র্যাব।
পরে র্যাবের পক্ষ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে এ মামলায় গ্রেপ্তার অন্য পাঁচ জনের উপস্থিতিতে নুর মোহাম্মদকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
দ্বিতীয় দফায় নুর মোহাম্মদের দুই দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান।
এ মামলায় গ্রেপ্তার থাকা অন্য আসামিরা হলেন- আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, মো. মোস্তফা কামাল, আইটি বিশেষজ্ঞ মেহেদী আলম, গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী মো. আতিকুর রহমান এবং কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (করপোরেট, বিক্রয় ও বিপণন) এ কে আজাদ।
বন্দরে কোকেনবাহী কনটেইনার জব্দের সাত মাস পর ১৫ জানুয়ারি র্যাব-৭ সদর দপ্তরে ডেকে নেওয়ার পর গ্রেপ্তার করা হয় নুর মোহাম্মদকে।
এরপর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সেদিন বিকালেই আদালতে হাজির করা হয়। রাতে আদালতের নির্দেশ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় নুর মোহাম্মদকে।
এরপর র্যাব-৭ এর পক্ষ থেকে তাকে তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ১৭ জানুয়ারি তিন দিনের রিমান্ডই মঞ্জুর করে আদালত।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত বছরের ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা একটি কনটেইনার আটক করে সিলগালা করে দেয় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।
বন্দর কর্মকর্তারা জানান, বলিভিয়া থেকে আমদানি করা সূর্যমুখী ভোজ্যতেলবাহী কনটেইনারটি জাহাজীকরণ হয় উরুগুয়ের মন্টেভিডিও বন্দর থেকে। সেখান থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে কনটেইনারটি এসে পৌঁছায় চট্টগ্রাম বন্দরে।
এ ঘটনায় ২৮ জুন চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ও কর্মচারী গোলাম মোস্তফা সোহেলকে আসামি করে মাদক আইনে একটি মামলা করে পুলিশ ।
পরে আদালত মামলাটিতে চোরাচালানের ধারা সংযোগের নির্দেশ দেয়।